তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহার করা হবে যে পরিমাণ পারমাণবিক বোমা!


এক নিমিষেই পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যেতে পারে মাত্র কয়েকটি পারমাণবিক বোম দ্বারা। কিন্তু পৃথিবীতে পারমাণবিক বোমের সংখ্যা প্রায় ১৬,৩০০! বিশ্বের শক্তিধর ৯টি দেশের কাছে এসব বোমা রয়েছে। বেশ ভালোভাবেই ধারণা করা যায় যে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে এসব পারমাণবিক বোমাগুলো ব্যবহার করা হবে।

১. রাশিয়া
স্টকহোম আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা ইন্সটিটিউট সিপ্রি-র তথ্য অনুসারে রাশিয়ার কাছে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি পরমাণু বোমা রয়েছে৷ দেশটিতে এ ধরনের বোমার সংখ্যা সাড়ে সাত হাজারের বেশি৷ ১৯৪৯ সালে সেদেশ প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা করেছিল৷


২.মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথম পরমাণু বোমা বানিয়েছে এবং একমাত্র দেশ যারা এটা যুদ্ধে ব্যবহারও করেছে৷ দেশটির এখন সাত হাজারের বেশি পরমাণু বোমা রয়েছে৷


৩. ফ্রান্স
ফ্রান্সের কাছে পরমাণু ওয়ারহেড আছে তিনশ’র মতো৷ এগুলোর অধিকাংশই রয়েছে সাবমেরিনে৷ দেশটির অন্তত একটি সাবমেরিন সবসময় পারমাণবিক বোমা নিয়ে টহল দেয়৷


৪. চীন
আড়াইশ’র মতো পরমাণু বোমা আছে চীনের৷ রাশিয়া বা যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় সংখ্যাটা কম হলেও দেশটি ধীরে ধীরে এই সংখ্যা বাড়াচ্ছে৷ স্থল, আকাশ বা সমুদ্রপথে এসব বোমা ছোঁড়া সম্ভব৷


৫. যুক্তরাজ্যে
দুইশ’র বেশি পরমাণু বোমা রয়েছে যুক্তরাজ্যের কাছে৷ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য এই দেশটি ১৯৫২ সালে প্রথম পরমাণু পরীক্ষা চালায়৷


৬. পাকিস্তান
ইতোমধ্যে তিনবার প্রতিবেশি ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়েছে পাকিস্তান৷ দেশটির আছে শতাধিক পরমাণু বোমা৷ সাম্প্রতিক সময়ে পরমাণু বোমার সংখ্যা বাড়িয়েছে দেশটি৷ অনেকে আশঙ্কা করেন, প্রতিবেশির সঙ্গে দেশটির লড়াই কোনো এক সময় পারমাণবিক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে৷


৭. ভারত
ভারত প্রথম পরমাণু পরীক্ষা চালায় ১৯৭৪ সালে৷ দেশটির কাছে নব্বইটির বেশি পরমাণু বোমা রয়েছে৷ ভারত অবশ্য জানিয়েছে, তারা আগে কোনো দেশকে আঘাত করবে না, আর যেসব দেশের পরমাণু বোমা নেই, সেসব দেশের বিরুদ্ধে তারা এ ধরনের বোমা ব্যবহার করবে না কোনোদিন৷


৮. ইসরাইল
ইসরাইল অবশ্য নিজের দেশের পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কে তেমন কিছু জনসমক্ষে প্রকাশ করে না৷ দেশটির আশিটির মতো পরমাণু ‘ওয়ারহেড’ আছে বলে ধারণা করা হয়৷
Powered by Blogger.