নির্জন এলাকায় মলত্যাগ করার বিপত্তি ও চীন-জাপান রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ....😉

সাল ১৯৩৭। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এর আগমন তখন হতেই অনুভব করা যাচ্ছিলো। চীন ও জাপান এর মাঝে তখন ভয়াবহ উত্তেজনা বিরাজ করছে। তৎকালীন জাপান ও চীন এর বর্ডারে,বেইজিং এর এক প্রান্তে অবস্থিত একটি ব্রিজ মার্কো পোলো ব্রিজ। এটি ছিলো চীন ও জাপানের মাঝে একটি বাফার জোন,তাই চীন ও জাপান উভয় দেশের সৈন্য রাই এই অঞ্চল টা নিয়ন্ত্রন করত।
.
এক রাতে,জাপান সেনাবাহিনী একটি মহড়া চালায়,এবং এতে চীনা সেনাবাহিনীর সাথে কিছুটা গুলিবিনিময় ও ঘটেছিলো। এ সংঘর্ষের পর জাপানি আর্মি ক্যাম্পে ফিরে গেলে দেখা যায় যে,এক সৈনিক কে খুজো পাওয়া যাচ্ছে না। সেই সৈনিক,যার নাম ছিলো শিমুরা কিকুজিরো, জাপানি আর্মি তাকে খুজতে শুরু করে ও চীন ও তাতে অনুমতি প্রদান করে। চীনের এত সহজে অনুমতি দেওয়াতেই জাপানি রা কিছুটা দ্বিধায় পড়ে যায়। তারা ভাবে,নিশ্চয়ই সে জাপানি সৈনিক কে চীনারা বন্দী করে রেখেছে। চীনাদের এত বড় দু:সাহস ! জাপানিজ আর্মি এর পরের দিন সকালেই চীনা আর্মির পজিশনে তীব্র হামলা চালায়। চীন ও জাপানের সে যুদ্ধে উভয় পক্ষেই বহু সৈন্য মারা যায়। আসল ব্যাপার ঘটে পরেরদিন সকালে।
.
জাপানিজ সেই সৈন্য সুস্থ বহাল তবিয়তে জাপানিজ ক্যাম্পে ফিরে আসে। সে জানায়,তাকে চীনারা কিডন্যাপ করেনি। আসলে,সে ওই রাতে বাথরুম এর কাজ সারার উদ্দেশ্যে নির্জন অঞ্চল খুজতে গিয়ে জঙ্গলে হারিয়ে গিয়েছিলো। তাই সে আর রাস্তা চিনে ক্যাম্পে আসতে পারে নি ! এদিকে যুদ্ধে বহু সৈন্য মারা গিয়েছে 😛
.
বাথরুম সৈনিকের ভুল হোক আর যাই হোক,এই সংঘর্ষের জের ধরেই ইতিহাসের ২য় চীন-জাপান যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটে,যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে গড়িয়ে শেষ হয়......
.
Powered by Blogger.