চাইনিজ টাইপ-৫৭ ফ্রিগেট ও বাংলাদেশ নৌবাহিনী
চাইনিজ টাইপ-৫৭ ফ্রিগেট, বাংলাদেশের ফিউচার ফ্রিগেট প্রোগ্রামের তালিকায় এটি অন্যান্য ফ্রিগেট গুলোর অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী। সত্যি বলতে বর্তমানের সাপেক্ষে টাইপ-৫৭ ফ্রিগেট আমাদের ফিউচার ফ্রিগেট হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। অনলাইনে সার্চ করে টাইপ-৫৭ নিয়ে তেমন ডিটেইলস কিছু পেলাম না তবে যা খুজে পেয়েছি তাই লিখাম। সবার প্রথমে টাইপ-৫৭ ফ্রিগেট নিয়ে কিছু যেনে নেওয়া যাক।
টাইপ-৫৭ হলো সম্পূর্ণ নতুন হালে তৈরী একটি ফ্রিগেট যা হবে ৪র্থ প্রজন্মের। যদিও ইন্টারনেট ঘেটে কোথাও খুজে পেলাম না এর ডিজাইন কনফার্ম হয়েছে কিনা। তবে এটি হবে স্টেলথ ডিজাইনের যার ফলে এর হাল হবে সম্পূর্ণ নতুন। মূলত এন্টি সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার (ASW) এর কথা মাথায় রেখেই এই ফ্রিগেটের ডিজাইন করা হবে। যেহেতু এটিকে ASW এর কথা মাথায় রেখে তৈরী করা হচ্ছে সেহেতু এতে ইঞ্জিন হিসেবে হাইব্রিড পাওয়ার প্লান্ট বসানো হবে যা কম শব্দ উৎপন্ন করে বেশি শক্তি প্রদান করবে। একটি ডিফেন্স সাইটের মতে এই ফ্রিগেটের ডিপ্লেসমেন্ট ৪ হাজার ৫০০ টন হবে। আরেকটি কথা অনেকে টাইপ-৫৪বি কে টাইপ-৫৭ বলে ডাকে।



এই রাডারটিকে ২০১২ সালে পরীক্ষা করা হয়। যেহেতু এটি নতুন জেনারেশনের ডিজিটাল ফেসড এ্যারে তাই এর এন্টেনা এরিয়া বড়ো হবেনা। কিন্তু ডিটেকশন ক্ষমতা আগের তুলনায় বেশি হবে। আর এর মাঝখানের এন্টেনাটি HQ-16G মিসাইলের গাইডেন্স সিস্টেম হিসেবে কাজ করবে। এর র্যাডার গুলোর শেইপ অনেকটা বক্স আকৃতির হওয়ার জাহাজের স্টেলথ ক্যাপাবিলিটি বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।
এবার বলি এটি আমাদের দেশে সার্ভিসে আসলে চিত্রটা কেমন হবে। যেহেতু ফ্রিগেট গুলো প্রযুক্তি নিয়ে দেশেই তৈরী করা হবে সেহেতু আমরা উন্নতমানের যুদ্ধ জাহাজ তৈরীর দিকে আরো এগিয়ে যেতে পারবো। এখানে এটাকে পুরানো বা খেলা পারে না এরকম বলে লাফানোর কোনো সুযোগ নেই। এটি এর আগের ভার্শনের ফ্রিগেট গুলোর থেকে অধিক নিখুঁত ও ধ্বংসাত্মক হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর যেখানে মায়ানমারের মত দেশ সাবমেরিন কিনে আমাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে সেখানে এই জাহাজটি হবে তাদের জন্য বিষফোঁড়ার মত। শুধু মায়ানমার না এটি ভারতেরও মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাড়াবে। আর বাংলাদেশ হবে এই দক্ষিন এশিয়ায় সর্বাধুনিক ফ্রিগেটের মালিক।