সেনাবাহিনি ও তনু হত্যা প্রসঙ্গ।
তনু হত্যা। |
ওয়ালে কলেজ ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর হত্যার রহস্যের
পেছনের কারন হিসেবে অনেক তথ্যবহুল কথা লিখেছেন। তার
সেই স্ট্যাটাস এখানে হুবহু তুলে ধরা হল-
.
গত কয়েকদিন কুমিল্লা সেনানিবাস অভ্যন্তরে তনু হত্যাকাণ্ড
নিয়ে ডিজিটাল মাঠে অনেক কথা হচ্ছে। কিছু বলবো না ভেবেও
বলতেই হচ্ছে। একজন সেনাবাহিনী কর্মকর্তা এবং
সেনানিবাসের নিরাপত্তার সাথে জড়িত থাকার সুবাদে আমার
বিশ্বাস আমি এবিষয়ে কিছুটা ধারণা দিতে পারব।
তনু নিয়মিত দুইজন সেনা সদস্যের সন্তানকে প্রাইভেট পড়ায়.
তার মায়ের ডাইবেটিস থাকায় তিনি মোটামুটি প্রতিদিন মেয়েকে
দিয়ে এবং নিয়ে আসতেন। ঘটনার দিন টেইলারিং শপ থেকে জামা
নিয়ে আসতে বলে মেয়ে তার মাকে সাথে যেতে বারন করে।
মেয়ে সময়মতো ফেরত না এলে তনুর মা ছেলেকে নিয়ে খোজা
খূজি শুরু করেন. এরপর বাবা বাসায় এলে তিনিও খুজতে শুরু
করেন। বাসার অদুরেই কালভার্টের কাছে পায়ের একটি
স্যান্ডেল পাওয়া যায়। একটু পরে মরদেহ পাওয়া যায়
সেনানিবাসের সিমানার একদম পাশেই। এখানে উল্লেখ্য যে
সম্প্রতি সেনানিবাসের নিরাপত্তার জন্য কাটাতারের বেড়া
খুলে দেয়াল তৈরির কাজ চলছে। মরদেহের আশেপাশে কোনো
মার্ডার ওয়েপন পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও সেনাবাহিনী যুগপথ তদন্ত করছে. আশাকরি দোষী বের
হয়ে আসবে। এখানে কিছু বিষয় লক্ষনীয়।
.
১. মরদেহ প্রাপ্তির স্থান মূল সড়ক থেকে খুবই কাছে যেখানে
ধর্ষণ ও হত্যার মতো কাজ করে নি:শ্বব্দে সরে পড়া অসম্ভব।
অতএব বলা যায় অপরাধ অন্য কোথাও করে মরদেহ ফেলে রেখে
গেছে। একাজ একজন ব্যক্তির দ্বারা অসম্ভব। সেনানিবাসের
স্থাপনা এমন নজরদারির মধ্যে থাকে সেখানে বেসামরিক
ব্যক্তির প্রবেশ সম্ভব নয়। পারিবারিক বাসস্থান এলাকায়
একাধিক সেনাসদস্য মিলে এহেন কাজ করে রিকশায় রাত ১১
টার পুর্বে মরদেহ ফেলে যাওয়া দুষ্কর। তাছাড়া তনুর বাসা ছিলো
ক্যান্টনমেন্ট এলাকার পাশেই। ওর মরদেহ ওর বাসার নিকট পাওয়া যায়।
.
২. এইকাজ এমন কেউ করেছে যে তনুর রুটিন জানে।
.
৩. ঘটনার দিন তনু নিজেই মাকে তার সাথে যেতে নিষেধ করে।
এটা কি নিছক জামা আনার জন্য?? নাকি ও পরিচিত কারো সাথে দেখা করতে গিয়েছিলো?
.
৪. কাটাতারের বেড়া কাটা থাকায় বাহিরে হত্যা করে ভিতরে ফেলে রেখে যাওয়া সম্ভব।
.
৫. এটা খুবই সহজ অনুমেয় যে সেনানিবাসের ভিতরে মরদেহ পাওয়া গেলে সবাই আসল খুনির খোঁজ না করে সেনাবাহিনী কেই দোষারোপ করবে। আর সেনাবাহিনী নিজের ইমেজ রক্ষার চেষ্টায় ব্যস্ত থাকবে। যেকেউই এই অবস্থার সুযোগ নিতে চাইবে।
.
৬. হঠাৎ করে শাহাবাগ, গণজাগরণ মঞ্চ এ বিষয়ে অন্য সন্দেহ তৈরি করে।
.
ঘটনা যাই হোক আমি নিশ্চিত ভাবে জানি ও বলতে চাই এই ধর্ষণ, হত্যা, লাশ বহন এর সাথে যেকোন সেনা সদস্য জরিত থাকলে সে বা তারা কঠিনতম শাস্তি পাবে এতে কোনো সন্দেহ
নাই।