রাইফেল পরিচিতি ০৩।। এন্টিম্যাটেরিয়েল রাইফেল



আজ আপনাদের সাথে এন্টিম্যাটেরিয়েল রাইফেল নিয়ে আলোচনা করব। তাই কথা না বাড়িয়ে চলুন দেখি এই বিশেষ রাইফেলের বৈশিষ্ট্য কি.....
এন্টিম্যাটেরিয়েল রাইফেল হল বিশেষ ধরনের রাইফেল যার ডিজাইন করা হয়েছে মিলিটারি পার্সনেল এর পরিবর্তে মিলিটারি ইকুইপমেন্ট (মিলিটারি ভেহিকল) ধ্বংস করার জন্য।

আসুন এবার দেখি এর বৈশিষ্ট্যগুলো - এই রাইফেল বিশেষ ধরনের স্নাইপার রাইফেল। এর বিধ্বংসী ক্ষমতা ভয়াবহ। এর মাজেল ভেলোসিটি অত্যন্ত বেশি। এর আকার ১ মিটার এর বেশি ও ২ মিটার এর কম হয়। এর সিস্টেম বোল্ট অ্যাকশন এর। এগুলো সিঙ্গেল শট এর হয়। এর ধরণ সেমি - অটোম্যাটিক। এদের ইফেকটিভ রেন্জ ২০০০ মি বা ২ কিলোমিটার এর বেশি। এর বুলেটের গতি প্রায় ১৫০০-১৮০০ মি/সে বা প্রায় ৫ম্যাক এর কাছাকাছি। তাই প্রায় ৩-৩.৫ কিলোমিটার পর্যন্ত লক্ষভেদ করা যায়।

এবার আসা যাক এর সাহায্যে কি কি ধ্বংস করা যায় তা নিয়ে।
এই রাইফেল দিয়ে আপনি যদি কোন তেলের সিলিন্ডার/ব্যারেলে শ্যুট করেন তাহলে তা বিষ্ফোরন করবে। এর সাহায্যে হেলিকপ্টার ধ্বংস করা যায়। এর সাহায্যে হেভি ভেহিকল, লরি, সাঁজোয়া যান, কিছু কিছু ট্যাংকও ধ্বংস করা যায়। এর প্রচন্ড শক্তিশালী বুলেট লোহার পুরু পাতকে অনায়াসে ভেদ করতে পারে। তাই চরম মুহুর্তে এর সাহায্যে অকল্পনীয় সাধ্য সাধন করা সম্ভব। একে দিয়ে স্ট্যান্ড ছাড়া ফায়ার করার কথা কল্পনাও করা যায় না। প্রচন্ড রিকয়েল তৈরি হয় এর একেকটি ফায়ারে।

আসুন এবার দেখি বিশ্বের সেরা কয়েকটি এন্টিম্যাটেরিয়েল রাইফেলের নাম -
অস্ট্রিয়ার তৈরি Steyr HS .50 AM, আমেরিকার Macmillan Tac - 50, রাশিয়ার Heavy Semi- Automatic sniper Rifle ইত্যাদি।

১ম বিশ্বযুদ্ধকালীন সময় সর্বপ্রথম এন্টি ট্যাংক রাইফেলের উদ্ভব হয়। এটিই এন্টিম্যাটেরিয়েল রাইফেলের সূচনা লগ্নের উৎস। আধুনিক এন্টিম্যাটিরিয়েল রাইফেল আারও উন্নত, ২০০০ সালের পর থেকে এর উন্নত পথের যাত্রা শুর হয়।
Powered by Blogger.