বাংলাদেশ ব্যবহৃত এন্টি ট্যাংক মিসাইল মেটিস এম-ওয়ান কে

ছবিতে আপনারা বাংলাদেশ ব্যবহৃত এন্টি ট্যাংক মিসাইল মেটিস এম-ওয়ান কে দেখতে পাচ্ছেন।এর পূর্ণনাম 9K115-2 Metis M। M1 এর সর্বাধুনিক ভ্যারিয়েন্ট। এটি রাশিয়ার তৈরী অত্যাধুনিক এন্টি ট্যাংক গাইডেড মিসাইল (ATGM)

১৯৯২ সালে এই ট্যাংক বিধ্বংসী মিসাইল গুলো রাশিয়া সেনাবাহিনীতে সার্ভিসে আসে।এর ন্যাটো রিপোর্টিং নাম হচ্ছে AT-13 Saxhorn-2 ।বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে প্রায় ১২০০ এর অধিক Metis M1 ট্যাংক বিধ্বংসী মিসাইল মজুদ রয়েছে।
এছাড়াও অন্যান্য আরো অনেক মিসাইল আছে।এ প্রসঙ্গে আমার পরিচিত এক অফিসার এর একটা বক্তব্য উপস্থাপন না করে পারছি না তিনি বলেছিলেন "এন্টি ট্যাংক ওয়ারফেয়ার এর জন্য বাংলাদেশ এর কোন ডেডিকেটেড এট্যাক গানশীপ নাই।ট্যাংক এর পরিমাণ প্রয়োজন এর তুলনায় কম।কিন্তু বাংলাদেশের হাতে এখন যে পরিমাণ এন্টি ট্যাংক মিসাইল আছে,তাতে ট্যাংক এর সাহায্য ছাড়াই শত্রুবাহিনীর জন্য এদেশকে নরক বানিয়েদেয়া যাবে" 💪💪 😎😎
আসুন জেনে নিই এই 9K115-2 Metis M। মিসাইল এর বিস্তারিত বিবরণ: 
◆ওজন: ১৩.৮ কেজি।
◆দৈর্ঘ্য: ৯৮০ মি.মি।
◆প্রস্থ: ১৩০ মি.মি।
◆ওয়ারহেড:ট্যাংক এর এক্সপ্লোসিভ রিএক্টিভ আর্মার কে পেনিট্রেট করার উপযোগী হিট ট্যান্ডেম ওয়ারহেড।থার্মোবরিক এন্টি পার্সোনেল/এন্টি ম্যাটেরিয়াল ওয়ারহেড ও লাগানো যায়।
◆ভেদন ক্ষমতা:
মেটিস এম এ ৮০০ মিলিমিটার
মেটিস এম-ওয়ান এ ৯০০-৯৫০ মিলিমিটার
◆ইঞ্জিন:সলিড ফুয়েল রকেট
◆গতি: ২০০মিটার/সেকেন্ড অর্থাৎ সাবসনিক(মানে ম্যাক ১ থেকে কম)
◆রেন্জ:০.৮ থেকে ২ কি.মি(এম-ওয়ান এ)
বাংলাদেশ ছাড়াও এই মিসাইল আলজেরিয়া, আর্মেনিয়া, ইরান, মিশর প্রভৃতি দেশ ব্যবহার করে।১ লঞ্চারসহ ১০ টা মিসাইলের একটি সেটের দাম ৮ লক্ষ ৭৫ হাজার ডলার যা বাংলা টাকায় প্রায় ৬ কোটি ৮০ হাজার টাকা।

(আধুনিক সমরাস্ত্র অবলম্বনে)
Powered by Blogger.