ফাইটার এয়ারক্রাফটে পাইলটের টয়লেট

কখনো কি দেখেছেন, ফর্মুলা রেসিং কারে ড্রাইভারের সময় সাশ্রয় এবং মনোযোগ ধরে রাখার জন্য আলাদা একটি টিউব থাকে যেখানে দিয়ে ড্রাইভার মনোযোগ রেসট্র্যাকে মনোযোগ ধরে রেখেই পানি পান করতে পারেন? অথবা বাণিজ্যিক বিমানে অক্সিজেন স্বল্পতার ক্ষেত্রে অক্সিজেন মাস্ক তো হলিউডের বদন্যতায় সবারই দেখার কথা।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে,ফাইটার এয়ারক্রাফটে পাইলটের যদি "আচানাক" প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে হয় তবে সে কি করবে?😶😶😶

SU-34র বিমানের ককপিট সাধারণত কিছুটা বড় হয় যেখানে বেশিরভাগ ডিভাইস থাকে পাইলটের আরামের জন্য।যেমন,অক্সিজেন মাস্ক।ককপিটে পাইলট-কমান্ডার বামে আর নেভিগেটর থাকে ডানে। তো ধরুন যদি ১৩০০ কিমির উড়ানে হুট করে হাগু চাপলো বা ধরুন প্রতিপক্ষের ধাওয়া খেয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার প্রয়োজন হয় তো তখন পাইলট বেচারা কি করবে? প্লেন কন্ট্রোল করবে নাকি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে প্রকৃতিকে সন্তুষ্ট করবে?এর জন্যই ব্যবহার করা হয় ছবির ডিভাইসটি।😍😍😍।এটি সিটের নিচে থাকে। এখানে একটি প্লাস্টিক ব্যাগ থাকে আর এক ধরনের বিশেষ পাউডার থাকে। এই বিশেষ পাউডার পাইলটের ইউরিনের সাথে বিক্রিয়া করে ইউরিনকে থকথকে জেলি বানিয়ে ফেলে আর সেই প্লাস্টিক ব্যাগ চেপে গিয়ে ডিভাইসটির মুখে এঁটে যায়। ফলে পাইলটের সম্মানখানা বেঁচে যায় আর ল্যান্ডের পর রক্ষণাবেক্ষণের ক্রুদেরও খাটাখাটনিটা কমে যায়।😀😀
দারুণ না?😂😂
Powered by Blogger.