রাশিয়া সার্ভিসে আনতে চলেছে 4++ জেনারেশনের মিগ৩৫
সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙ্গার পরে রাশিয়া দীর্ঘ দিন অর্থের অভাবে নতুন কোন ফাইটার ডেভলপ করতে পারেনাই তাই পশ্চিমা ফাইটার গুলোর তুলনায় রাশিয়ান ফাইটার খুব পিছিয়ে পরে।
কিন্তু রাশিয়া পশ্চিমা বিমান গুলো কাউন্টার করতে আর বিশ্বের আকাশ রাজত্ব করতে সার্ভিসে আনতে চলেছে Su57 এর মতো কার্যকরি ৫ম প্রজন্মের বিমান যা সমসাময়িক অনান্য বিমান থেকে বেশ এগিয়ে। Su 57 দিয়ে রাশিয়ান বহরের সু ২৭ গুলোকে রিপ্লেস করা হবে।
কিনতু মিগ২৯ গুলোকে রিপ্লেস করতে আর বিদেশি কাস্টমার দের জন্য দরকার একটা মিডিয়াম ওয়েটের সাস্ত্রয়ী মাল্টিরোল ফাইটার যেটা হাইলিম্যানুরেবল এয়ার সুপিরিয়র ফাইটা আবার সেকেন্ডারি গ্রাউন্ড এটাক করতে পারবে এমন একটা প্রযুক্তি নির্ভর ফাইটার।
তাই রাশিয়া সার্ভিসে আনতে চলেছে 4++ জেনারেশনের মিগ৩৫।মিগ৩৫ এ আছে মিগ ২৯ এর তুলনায় উন্নত এয়ার ফ্রেম, রাডার, সেন্সর ইন্জিন ও ককপিট।
#রাডার হিসেবে এতে ব্যবহৃত হয়েছে নতুন Phazatron Zhuk AE AESA রাডার যা আকাশে ১৬০ কি.মি ও পানিতে ৩০০ কি.মি দূরের ৩০টি টার্গেটকে ডিটেক্ট ও একসাথে ৬ টিকে এংগেজ করতে পারে। এছাড়াও ২০ কি.মির মধ্যে ট্যাংক ও ডিটেক্ট করতে সক্ষম এটি। এই রাডার জ্যাম করা প্রায় অসম্ভব।
#ইন্জিন মিগ৩৫ এর ইন্জিন হিসেবে আছে RD-33 MKALL থ্রাস্ট ভেক্টরিং ইন্জিন।এই ইন্জিনে মিগ ২৯ এর মতো ধুয়াবের হয় না।বিমান আরো লো স্পিডে উড়তে পারে।এই ইন্জিনের কারনে মিগ৩৫ আরো বেশি ম্যানুয়েবার হয়ে উঠেছে।
#সেন্সর মিগ ৩৫ পরবর্তি প্রজন্মের বিভিন্ন সেন্সর ব্যাবহার করা হয়েছে।যার জন্য মিগ ৩৫ এর প্রযুক্টি আমেরিকা, ইউরোপের প্রযুক্টির মতো উন্নত।
#মিগ_৩৫ এর সেন্সর গুলো নিছে দেওয়া হলো
#Leuco_Sepphire_OLS মিগ ৩৫ এ স্টিল্থ টার্গেট ডিটেক্ট করতে আছে নেক্সট জেনারেশনের Leuco Sepphire অপ্টিকাল লোকেটোর স্টেশন OLS।
OLS কাজ করে মানুষের চোখের মতো।টার্গেটের ছবি তুলে বিশ্লেষণ করে ট্যাক করে ।খুবই উন্নত প্রযুক্তির এই সেন্সরটি ৫৫ কিলোমিটারে মধ্যে আমেরিকান সবচে স্টেল্থি বিমান ও ডিটেক্ট করতে পারবে।
OLS কাজ করে মানুষের চোখের মতো।টার্গেটের ছবি তুলে বিশ্লেষণ করে ট্যাক করে ।খুবই উন্নত প্রযুক্তির এই সেন্সরটি ৫৫ কিলোমিটারে মধ্যে আমেরিকান সবচে স্টেল্থি বিমান ও ডিটেক্ট করতে পারবে।
#OLS_k_গ্রাউন্ড_এন্ড_সী_টার্গেটিং_OLSসিস্টেম
গ্রাউন্ডের বিভিন্ন টার্গেট যেমন ট্যাংক, শত্রু পক্ষের সৈন্য,APC, ইত্যাদি এই সেন্সরের মাধ্যমে ২০ কিলোমিটার দূর থেকেই ডিটেক্ট করা যাবো ও আক্রমন করা যাবে।শত্রু দেয়ালের অপর পাশে থাকলে ও পাইলট তা স্পস্ট ভাবে বিমানের স্ক্রিনে দেখতে পাবে।পালানোর কোন সুযোগ নাই।
#SOAR ইনকামিং মিসাইল ডিটেক্ট করতে মিগ ৩৫ ব্যাহার করে রাশিয়ার সবচে উন্নত প্রযুক্তির SOAR সিস্টেম।ছোট ম্যানপ্যাড যেমন স্টিংগারের মতো মিসাইল ১০ কিলোমিটার, এয়ার টু এয়ার মিসাইল
৩০ কিলোমিটার আর স্যাম ৫০ কিলোমিটার দূর থেকেই এই সেন্সর ডিটেক্ট করতে পারবে ও প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা পাইলট নিতে পারবে।
৩০ কিলোমিটার আর স্যাম ৫০ কিলোমিটার দূর থেকেই এই সেন্সর ডিটেক্ট করতে পারবে ও প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা পাইলট নিতে পারবে।
#ইলেক্ট্রনিক্স_ওয়েফারের জন্য আছে MSP 418k Kedr জ্যামার পড।
#জ্যামার ইনকামিং মিসাইল জ্যাম করে দিতে মিগ৩৫ এ আছে ETL/568 সেল্ফ প্রটেকশন জ্যামার।
#মিগ_৩৫ এ আছে উন্নত গ্লাস ককপিট, হেলমেট মাউন্টেন ডিসপ্লে (পাইলট টার্গেটের দিকে তাকালেই টার্গেট লক হবে)
#ককপিট মিগ ৩৫ এর ককপিটটাও অস্থির।
মিগ ৩৫ তৈরি করা হয়েছে আমেরিকান F15,F16 ইউরোফাইটার টাইফুন, সুইডেনের গ্রিপেনের মতো ফাইটার গুলোকে কাউন্টার করে।
#বিবরন :-
♦দৈর্ঘ্য :- ১৭.৩ মিটার
♦উচ্চতা :- ৪.৭ মিটার
♦ওজন ( খালি অবস্থায়) :- ১১ টন
♦পে-লোড- ৭০০০ কেজি
♦গতি :- ম্যাক ২.২
♦সার্ভিস সিলিং :- ১৭.৫ কি.মি
♦ফেরী রেঞ্জ :- ৩১০০ কি.মি
♦কমব্যাট রেডিয়াস :- ৫০০ কি.মি
♦হার্ডপয়েন্ট :- ৯ টি









||অস্ত্রশস্ত্র :-
.
♦#ক্যানন :- ১ টি ৩০ মি.মি GSh-30-1 ক্যানন
.


#এয়ার_টু_এয়ার মিসাইল R23,R27, R77,R73
#গ্রাউন্ড_এটাকের জন্য। Kh-31A/Kh-31P/Kh-29T/Kh-29 মিসাইল
মেরিটাইম স্ট্রাইক এর জন্য Kh 35 এন্টি সীপ ক্রুজ মিসাইল বহন করতে পারে।

মিগ ৩৫ সার্ভিসে আসার আগেই বিভিন্ন দেশ এটি কেনার অাগ্রহ প্রকাশ করেছে মিসর এর মধ্যেই 40+ মিগ৩৫ অর্ডার করেছে। এছারাও মিয়ানমার, পেরু, কাজাকিস্তান সহ আরো অনেক দেশ এটা কিনার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
মিগ ৩৫ এর মেইন্টেনেস কস্ট মিগ ২৯ এর প্রায় অর্ধেক এর ও কম।মিগ৩৫ এর দাম ও কম প্রতি ইউনিট40 মিলিয়ন প্রায়(সুধু বিমানের দাম 40 মিলিয়ন)
সব মিলিয়ে অস্থির একটা বিমান।
রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস এর মতে বাংলাদেশ মিগ ৩৫ কিনার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে কিন্তু ISPR এর কাছে এই ব্যাপারে কিছু জানা যায় নাই। F 7 এর রিপ্লেসমেন্ট এর জন্য এটা কেনার একটা সম্ভাবনা আছে।
আমার মতে মিগ ৩৫ বাংলাদেশের জন্য পারফেক্ট ফাইটার কারন বাংলাদের দীর্ঘ দিন মিগ ২৯ ইউস করছে আর বাংলাদের এডভান্স জেট ট্রেনার হিসেবে ইয়াক ১৩০ ব্যাবহার করে যা দিয়ে রাশিয়ন ফাইটার চালানোর ট্রেনিং পাওয়া যায়তাই আমাদে পাইলটদের আলাদা ট্রেনিং নিতে হবে না আর রাশিয়া বাংলাদেশেই মিগের ওভারহলিং প্লান্ট খুলে দিতে চায় তাই রাশিয়া থেকে ওভারহলিং করতে হবে না খরচ ও কম হবে
😃
😃


আপনাদের কি মতামত??
-আধুনিক সমরাস্ত্র অবলম্বনে।