চীনের VT-5 নাকি দক্ষিণ কোরিয়ার K21- বাংলাদেশ আর্মির জন্য কোনটি উপযুক্ত?
চীনের VT-5 এর পর দক্ষিণ কোরিয়াও বাংলাদেশকে তাদের অত্যাধুনিক লাইট ট্যাংক K21-105 অফার করেছে। Adex-2017 এ এই খবরটি নিশ্চিত হওয়া যায়। এখন এ দুটি ট্যাংকের মধ্যে তূলনা করে দেখা যাক।
♦ওজন ও আর্মার প্রোটেকশন:-
চীনের VT-5 এর আর্মার প্যাকেজের উপর নির্ভর করে এর ওজন ৩৩-৩৬ টন। আর্মার প্রোটেকশনের দিক দিয়ে VT-5, কোরিয়ান K21 এর চেয়ে এগিয়ে। VT-5 এ passive composite armor বা explosive reactive armor ফিট করা সম্ভব। এছাড়াও এর অনেক অংশে cage armor আছে, যা ATGM ও রকেট থেকে ভাল প্রোটেকশন দেয়।
অন্যদিকে কোরিয়ার K21 এর ওজন কম, ২৫ টন। কিন্তু এর আর্মার প্রোটেকশনও VT-5 এর চেয়ে কম। এর সামনের দিকে ৩০ মি.মি. armor piercing রাউন্ডের বিরুদ্ধে প্রোটেকশন দিতে পারে। তবে পাশের দিকে ১৪.৫ মি.মি. armor piercing রাউন্ডের বিরুদ্ধে কার্যকরী।
.
♦ফায়ার পাওয়ার:-
VT-5 ও K21 এর ফায়ার পাওয়ার প্রায় সমানই বলা যায়। চীনের VT-5 এর মেইন গান হিসেবে আছে fully-stabilized ১০৫ মি.মি. রাইফেলড গান। কোরিয়ান K21 এরও একই। তবে VT-5 এর মেইন গানের রেঞ্জ ৩ কি.মি., যেখানে K-21 এর রেঞ্জ ৪ কি.মি.। আবার, VT-5 ১০৫ মি.মি. anti tank guided missile ছুড়তে পারে, যার রেঞ্জ ৫ কি.মি.। এবং K21 ও ৫ কি.মি. রেঞ্জের Falarick ATGM নিক্ষেপ করতে পারে। দুই ট্যাংকেরই Thermal visionসহ অত্যাধুনিক ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম আছে, যা তাদের রাতেও অপারেট করার ক্ষমতা দেয়। তবে VT-5 এর Hunter killer capability একে কিছুটা এগিয়ে রাখে।
♦মোবিলিটি:-
মাত্র ২৫ টন ওজন হওয়ায়, K21 এর মোবিলিটি VT-5 এর চেয়ে বেশি। তার উপর K21 পানিতেও চলতে পারে, যা একে VT-5 এর চেয়ে বেশি মোবিলিটি দেয়।
সবশেষে, এ দুটি লাইট ট্যাংকের দামও একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। চীনের VT-5 এর এক্সপোর্ট কস্ট ৩ মিলিয়ন ডলার হতে পারে, যেখানে K-21 এর ৩.৫-৪ মিলিয়ন ডলার।
শেষ পর্যন্ত যারা ভাল অফার দিবে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের থেকেই কিনবে। সেনাবাহিনী অন্তত দুই রেজিমেন্ট লাইট ট্যাংক কিনবে।

চীনের VT-5 এর আর্মার প্যাকেজের উপর নির্ভর করে এর ওজন ৩৩-৩৬ টন। আর্মার প্রোটেকশনের দিক দিয়ে VT-5, কোরিয়ান K21 এর চেয়ে এগিয়ে। VT-5 এ passive composite armor বা explosive reactive armor ফিট করা সম্ভব। এছাড়াও এর অনেক অংশে cage armor আছে, যা ATGM ও রকেট থেকে ভাল প্রোটেকশন দেয়।
অন্যদিকে কোরিয়ার K21 এর ওজন কম, ২৫ টন। কিন্তু এর আর্মার প্রোটেকশনও VT-5 এর চেয়ে কম। এর সামনের দিকে ৩০ মি.মি. armor piercing রাউন্ডের বিরুদ্ধে প্রোটেকশন দিতে পারে। তবে পাশের দিকে ১৪.৫ মি.মি. armor piercing রাউন্ডের বিরুদ্ধে কার্যকরী।
.

VT-5 ও K21 এর ফায়ার পাওয়ার প্রায় সমানই বলা যায়। চীনের VT-5 এর মেইন গান হিসেবে আছে fully-stabilized ১০৫ মি.মি. রাইফেলড গান। কোরিয়ান K21 এরও একই। তবে VT-5 এর মেইন গানের রেঞ্জ ৩ কি.মি., যেখানে K-21 এর রেঞ্জ ৪ কি.মি.। আবার, VT-5 ১০৫ মি.মি. anti tank guided missile ছুড়তে পারে, যার রেঞ্জ ৫ কি.মি.। এবং K21 ও ৫ কি.মি. রেঞ্জের Falarick ATGM নিক্ষেপ করতে পারে। দুই ট্যাংকেরই Thermal visionসহ অত্যাধুনিক ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম আছে, যা তাদের রাতেও অপারেট করার ক্ষমতা দেয়। তবে VT-5 এর Hunter killer capability একে কিছুটা এগিয়ে রাখে।

মাত্র ২৫ টন ওজন হওয়ায়, K21 এর মোবিলিটি VT-5 এর চেয়ে বেশি। তার উপর K21 পানিতেও চলতে পারে, যা একে VT-5 এর চেয়ে বেশি মোবিলিটি দেয়।
সবশেষে, এ দুটি লাইট ট্যাংকের দামও একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। চীনের VT-5 এর এক্সপোর্ট কস্ট ৩ মিলিয়ন ডলার হতে পারে, যেখানে K-21 এর ৩.৫-৪ মিলিয়ন ডলার।
শেষ পর্যন্ত যারা ভাল অফার দিবে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের থেকেই কিনবে। সেনাবাহিনী অন্তত দুই রেজিমেন্ট লাইট ট্যাংক কিনবে।