বাংলাদেশের নিজস্ব প্রযুক্তির তৈরি যুদ্ধাস্ত্র সম্পর্কে বিস্তারিত [পর্ব ০২]

গত পর্বে বাংলাদেশের নিজস্ব প্রযুক্তির তৈরি যুদ্ধাস্ত্র সমন্ধে কিছু ধারনা পেয়েছি।আজ বাকি কিছু যুদ্ধাস্ত্র সম্পর্কে জানবো।

padma class opv Bangladesh
পদ্মা ক্লাস ওপিভি
বাংলাদেশের নিজস্ব প্রযুক্তির যুদ্ধজাহাজ নির্মানের অগ্রযাত্রা শুরু হয় পদ্না ক্লাস ওপিভি দিয়ে।২০১৩ সালে এই ক্লাসের প্রথম যুদ্ধজাহাজ কমিশন প্রাপ্ত হয়।এটি ঘন্টায় প্রায় ২৩ ন্যাটিকল মাইল চলতে সক্ষম।এর একটি উল্লেখযোগ্য দিক হল সী স্টেট-৬ লেভেলের ঢেউয়ের মাঝেও এটি চলতে পারে যেখানে মায়ানমারের বানানো কীয়ান সীথা ক্লাস ফ্রিগেট সী স্টেট-৪ এর চেয়ে বেশী লেভেলের ঢেউয়ের মাঝে চলতে পারেনা।অর্থাৎ পদ্মা ক্লাস ওপিভি মায়ানমারের ফ্রিগেটের চেয়ে গভীর সাগরে যেতে পারে।অস্ত্র-শস্ত্র হিসেবে রয়েছে ২ টি ২০মিমি এন্টি এয়ারক্রাফট গান,২ টি ৩৭ মিমি নেভাল গান।এছাড়া আরও আছে ১০ টি নেভাল মাইন।প্রয়োজনবোধে এতে ১২.৭ মি.মি. হেভী মেশিনগান এবং সি-৭০৪ এন্টিশিপ মিসাইল লাগানো যাবে।যুদ্ধকালীন সময়ে আকাশ প্রতিরক্ষার জন্য ম্যানপ্যাড রাখা হবে।
Durjoy class LCP Bangladesh
দুর্জয় ক্লাস এলপিসি
বাংলাদেশের তৈরি বিএনএস দুর্জয় হলো বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সেমি স্টিলথ টহল জাহাজ।বর্তমানে এরকম চারটি সার্ভিসে আছে।এগুলো মোট ১২ টি সার্ভিসে রাখার পরিকল্পনা আছে।এসব যুদ্ধ জাহাজ সমুদ্র পথে ঘণ্টায় ২৫’নটিক্যাল মাইল বেগে চলতে সক্ষম।এ জাহাজে একসাথে ৭০ জন নাবিক থাকতে পারবেন।
এর দুইটি ভার্সন আছে।এন্টি সাবমেরিন ভার্সন এবং এন্টিশিপ ভার্সন।
এন্টিশিপ ভার্সনে অস্ত্র হিসেবে ১ টি ৭৬ মি.মি. নেভাল গান,২ টি ২০ মি.মি. এন্টি এয়ারক্রাফট গান,১২ টি এন্টি সাবমেরিন রকেট লঞ্চার,৪ টি সি৭০৪ এন্টিশিপ মিসাইল আছে।আকাশ প্রতিরক্ষার জন্য এতে কাধে বহনযোগ্য মিসাইল রাখা হয়।
এন্টি সাবমেরিন ভার্সনে আছে ১ টি ৭৬ মি.মি. নেভাল গান,১ টি ৩০ মি.মি. বিমান বিধ্বংসী কামান,৬ টি টর্পেডো লঞ্চার।
উল্লেখ্য এই ক্লাসের জাহাজকে এলপিসি নামে ডাকা হলে এগুলো অনেক দেশের করভেটের চেয়েও শক্তিশালী।যেমন ভারতের অভয় ক্লাস করভেটের চেয়ে আমাদের দুর্জয় ক্লাস এলপিসি অনেক শক্তিশালী ও উন্নত।

Buzz Drone Bangladesh

Bazz ড্রোন
২০১৫-১৬ সালে Bangabandhu Aeronautical Centre (BAC) বাংলাদেশ স্বসস্ত্রবাহিনীর জন্য UAS(Unmanned Aerial System)নিজস্ব প্রযুক্তি দিয়ে বানানায় যার নাম দেওয়া হয় 'BAC Bazz'।
এগুলো কন্ট্রোল প্যানেলের প্রায় ১৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মাঝে চক্কর দিতে পারে।এই ড্রোন গুলো বাংলাদেশ প্রায় ১০০ টি বানানো হয়েছে।Bazz এর উন্নত ভার্সন অর্থাৎ রেঞ্জ বেশি গুলো বিমানবাহিতে ব্যবহার করা হবে।
Powered by Blogger.