প্রসঙ্গ, বাংলাদেশ সীমান্তে বার্মিজ সামরিক Mil Mi-17 হেলিকপ্টার প্রবেশ।
Mynmar Mil Mil-17 Attack Helicoptor |
ইতিমধ্যেই ফেসবুক সহ সকল মিডিয়াতে এই বিষয় নিয়ে একরকম ঝড় হয়ে প্রায় থেমে গেছে। তো অনেকেই এ সংক্রান্ত বিভিন্ন পোষ্টে বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা নিয়ে অনেক প্রশ্ন তুলেছেন, যদিয়ো তা কিছুটা যুক্তিসংগত কিন্তু বেশিটাই অযৌক্তিক,, কেমন তা উল্লেখ করছি...
১/ হেলকপ্টার টি খুব অল্প সময়ের জন্য বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষা আকাশে ছিলো, আর সেটা পাহাড়ি ও বনাঞ্চল হবার কারনে রেডারে ধরা না পরা টা বা পড়তে দেড়ি হওয়াটা স্বাভাবিক, বিশেষ করে ঘটনাটা যখন ০ লাইনের খুব কাছে। তবে এ থেকে আমাদের সামরিক বাহিনীর শিক্ষা নিয়ে সীমান্ত আরো সুরক্ষিত করার ব্যাপারে মাথা ঘামানো উচিৎ, প্রয়োজনে আরো লংরেঞ্জ রাডার ইউনিট মোতায়েন এর পাশাপাশি বিজিবির হাতে MANPADS SAM দেয়া উচিৎ, এতে অন্তত কিছুটা ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।
২/ আর এতো অল্প সময়ে কোন বেবস্থা নেয়ার মত ক্ষমতা বিশ্বের অনেক মুড়ল দেশের ও নেই বা নেয় না,, কারন বিশ্বায়ন এর এই যুগে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি প্রায় সকলেই শ্রদ্ধাশীল। আর কোনপ্রকার আন-আর্মড হেলিকে ভূপাতিত করাটা বাংলাদেশের জন্য মোটেও ভালোকিছু না যখন বাংলাদেশ জাতিসংঘে একটা গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে একই সাথে মায়ানমার এর সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ চলছে। তবে আমাদের বিজিব এর ওয়ার্নিং ফায়ার না করাটা একটা বিরাট ভূল, এতে করে প্রতিপক্ষের কাছে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত নমনীয় হয়ে যায় যা দুর্বলতা প্রকাশ করে। আর পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এ ব্যাপারে কার্যকারী ব্যবস্থা না নেয়াটা কূটনৈতিক দুর্বলতা ছাড়া কিছুইনা।
৩/ আর ভাই বাংলাদেশের এয়ার ডিফেন্স খুব বেশি দুর্বল না হলেও মোটামুটি দুর্বল, আর বিশেষ করে শান্তিকালীন সময়ে যখন এয়ার ডিফেন্স ইউনিট স্ট্যান্ডবাই মুডে থাকে। আর বাংলাদেশের হাতে এখনো সেই পরিমাণ SAM System নাই যে ঐরকম দুর্গম অঞ্চলে মোতায়েন রাখবে। তবে আশার কথা এই যে, খুব শিঘ্রই LY-80E SAM আমাদের বহরে যুক্ত হচ্ছে যার কিছু ইউনিট চট্টগ্রাম বিভাগে মোতায়েন করা হবে বলে জানা গেছে। আর সেনাবাহিনীর হাতে এসে পৌঁছানো FM-90 SAM গুলোর কিছু ইউনিট এমন পরিস্থিতির পর রামু সেনানিবাস বা মায়ানমার সংলগ্ন সেনানিবাস গুলোতে মোতায়েন করা হতে পাড়ে।
৪/ অনেকের মতে হেলিকপ্টার টিকে ভূপাতিত করা উচিৎ ছিলো,, তবে আসলে এটা করা উচিৎ না। নমুনা তুরস্ক কে দেখে নেন,, তাদের সাথে এতো দেশ থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র রাশিয়ার কারনে তাদের অর্থনীতি আজ বিশাল ধাক্কা খাচ্ছে প্রতিনিয়ত। আর সমাজে বাস করলে যেমন সকলের সাথে শত্রুতা চলেনা তেমনি বিশ্বায়ন এর যুগে শত্রুতাচরণ করাটা অলাভজনক। তবে তারমানে এই না যে আমরা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো না, নিতে হবে তবে তা যথাযথ। কারন "শক্তের ভক্ত, নরমের জম"।
পরিশেষে একটা কথা,, ভাই বিজিবি আগেও যা ছিলো এখনো তাইই আছে শুধুমাত্র তাদের হাত বেধে দিয়েছে সরকার। যখন বিজিবি সরকার বা উর্ধতন কর্মকর্তার সঠিক নির্দেশ পাবে তখন তারা ঠিকি একশন নিবে,,, যখন তারা দেখে যে প্রয়োজনীয় একশন নিলে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয় বা সাসপেন্ড করা হয় তখন কোন কেউ ই তার ১০০% দিতে পারেনা, কারন সকলের ই পরিবার আছে। আর সঠিক নেতৃত্ব না থাকলে এমন হওয়াটাও স্বাভাবিক। আর মায়ানমার সামরিক বাহিনীর মাঝেমাঝেই যে ইয়াবাবার পিনিক উঠে সেটা সকলেই জানে। আর যখন বিজিবি এর যবাব দেয় তখন কি ঘটে তা আপনারা দেখেছেন এর আগে এবং জানেন ও,, তাই সামরিক বাহিনী কে গালাগালি না করে তাদের কে বুঝুন তাদের সাহায্য করুন প্লিজ,, তারা চাইলে অনেক কিছুই করতে পাড়ে কিন্তু শৃঙ্খলা বলতে তো একটা জিনিশ আছে তাইনা..! সেটা ভঙ্গ করলেতো আবার বিদ্রোহ হয়ে যাবে। তাই সামরিক বাহিনী কে কিছু না বলে সরকার এর উপর চাপ বাড়ান যাতেকরে সরকার তাদের বাধা হাত খুলে দেয় কূটনৈতিক সক্ষমতা অর্জনের মধ্য দিয়ে তাহলেই দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা সহজ হবে এবং এমন ঘটনার সঠিক জবাব দেয়া সম্ভব হবে।
Like Us our Facebook Fanpage- click