বাংলাদেশ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলাদা করার চক্রান্ত।
Bangladesh Army in Ctg |
পার্বত্য অঞ্চল গুলো এতটাই দুর্গম যে সেখানে পৌঁছানো সব সময় সম্ভব হয় না, আর পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা গভীর জংগলে অবস্থান করায় ও পাহাড়ি শান্তিচুক্তির কিছু অনুচ্ছেদ সেনাবাহিনীর হাতপা বেধে দেয়াতে এই সন্ত্রাসী সংগঠন গুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করাও সম্ভব হয়ে ওঠেনা। যারফলে দিন দিন পাহাড়ি সন্ত্রাসী সংগঠন গুলো আরো বেশি সশস্ত্র হয়ে উঠছে যা পাহাড়ে বসবাসকারী সাধারণ জনগণ দের জন্য যতটা ভয়াবহ তার চাইতে অধিক ভয়ানক দেশের অখণ্ডতার জন্য। আর এই সমস্যা সমাধানে বিশেষজ্ঞ রা পরামর্শ দিয়েছে পাহাড়ে যোগাযোগব্যবস্থার অধিক উন্নয়ন ও সহজতম করার জন্য, রাস্তাঘাটের উন্নয়নের ফলে যাতায়াত সহজ হবে দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মুভমেন্ট করা সহজ হবে ও বিচ্ছিন্ন জনপদ গুলোর সাথে সহজেই যুক্ত হওয়া যাবে।
পাহাড়ের অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প গুলি প্রত্যাহার করা নিয়ে অনেকের খোভ রয়েছে তবে তার বিপরীতে স্থায়ী শক্তিশালী উন্নত অবকাঠামো ও ভারী অস্ত্রশস্ত্র এর সমন্বয়ে সেনানিবাস স্থাপন করা হচ্ছে এটাও বুঝতে হবে,, সাধারণ জনগণ দের আশেপাশে সেনাক্যাম্প অনেকেই ভালো চোখে দেখেনা আর এর ফলে অনেক বিচ্ছিন্ন ঘটনা সৃষ্টি হয় তাই এই সিদ্ধান্ত আপাতত ভালো বলেই প্রত্যক্ষ হচ্ছে। তবে আমার মতে সবার আগে সীমান্ত সুরক্ষিত করা বিশেষ প্রয়োজন, একই সাথে সীমান্ত চৌকি বৃদ্ধি ও রিং-রোড নির্মান এর বিকল্প নেই,, কেননা এর মাধ্যমে যেমন সীমান্তে নজর রাখা সহজ হবে তেমনি দ্রুত মুভমেন্ট করতে পারবে সামরিক বাহিনী। আর সমস্ত সেনাক্যাম্প প্রত্যাহার করার আগে বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করে ঝটিকা অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে পাহাড়ি সন্ত্রাসী দের দমন বা দুর্বল করতে হবে নয়তো পাহাড়ের সাধারণ মানুষ স্বাভাবিক জীবন জাপন করতে পারবেনা। প্রতিনিয়ত পাহাড়ি সাধারণ জনগণ কে সন্ত্রাসী দের চাঁদা বা মুক্তিপণ এর স্বীকার হতে হয় যা জনজীবনে আতংক ছড়ায় আর এর ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনাস্থা তৈরি হয়। তাই পাহাড়ে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এনে ও আলোচনার মাধ্যমে বিশেষ বাহিনীর অভিযানের সুযোগ করে দিতে হবে ও পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন গুলোকে দমন করতে হবে। কেবলমাত্র উল্লেখিত ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমেই দেশের অখণ্ডতা রক্ষা ও পাহাড়ে সত্যিকার এর শান্তি প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়ন সম্ভব হবে।