জাপানের ইউনিট ৭৩১-এর এ বীভৎস নির্যাতন।

জাপানের ইউনিট ৭৩১
জাপানের ইউনিট ৭৩১

মূলত সোভিয়েতরা অ্যানথ্র্যাক্স ব্যাকটেরিয়া নামক জীবানু অস্ত্র তৈরী করে জাপানিদের কাছ থেকে পাওয়া প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে।দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে জাপানকে পরাজিত করে ইউনিট ৭৩১ এর গবেষণার ফলাফল পেয়ে যায় সোভিয়েতরা। এবং তারা নিজেরাই ইউনিট ৭৩১ কার্যক্রম শুরু করে। ।

জাপানের ইউনিট ৭৩১ এর সদস্যবৃন্দ, japans unit 31 members
জাপানের ইউনিট ৭৩১ এর সদস্যবৃন্দ

ইউনিট ৭৩১ সম্পর্কে জানেন না তাদের জন্য বলছি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে জাপানের রাজকীয় সেনাবাহিনীর ভেতরে একটি মেডিক্যাল টিম ছিল। এর নাম ছিল ইউনিট ৭৩১। টিমটির কাজ ছিল মানুষের শরীরের ওপর বিভিন্ন
ধরনের জৈব রাসায়নিক পরীক্ষা চালানো। এর অংশ হিসেবে তারা মানুষকে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখত
তার শ্বাসরোধ না হওয়া পর্যন্ত, জীবন্ত অবস্থায় মাটিতে পুঁতে ফেলত, শিরায় বাতাস ঢুকিয়ে দিত, অত্যন্ত ঠাণ্ডা বা অত্যন্ত গরম একটি কক্ষে ঢুকিয়ে
বন্দি করে রাখত।

জাপানের ইউনিট ৭৩১ ভিকটিম, Japan unit31 Victim
জাপানের ইউনিট ৭৩১ ভিকটিম


 এতেই সীমাবদ্ধ ছিল না ইউনিট ৭৩১-এর পরীক্ষা-নিরীক্ষা। জীবন্ত মানুষের খুলি থেকে কেটে নিত একটি অংশ, ড্রিল মেশিন দিয়ে ফুটো করে দিত খুলি অথবা করাত দিয়ে চিড়ে দিত
খুলি বা শরীরের অন্য কোনো অংশের হাড়।

 
জাপানের ইউনিট ৭৩১ ভিকটিম, Japan unit31 Victim
জাপানের ইউনিট ৭৩১ ভিকটিম

 ইউনিট ৭৩১-এর এ বীভৎস নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মূলত
রাশিয়া ও আমেরিকার বন্দি সেনারা। এ সব কিছুই করা হতো অত্যন্ত গোপনে।
Powered by Blogger.