যুদ্ধের কাজে অস্ত্র হিসেবে সাপের ব্যবহার।


ভিয়েতনাম যুদ্ধে সাপ দিয়েই পরাজিত করা হয়েছিলো যুক্তরাষ্ট্রকে। .................??????

যুদ্ধের কাজে অস্ত্র হিসেবে সাপের ব্যবহার। এমন ঘটনা যুদ্ধের ইতিহাসে বিরল হলেও ভিয়েতনাম যুদ্ধে সামরিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয় কয়েক শ’ বিষধর কালকেউটে সাপ।
শত্রুদের ধ্বংস করতে সাপ ব্যবহার করা হয় এমন যুদ্ধের কথা হয়তো অনেকের জানা নেই। কিন্তু এই যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের চোখের জল ফেলেছিল। এখন থেকে প্রায় ৬০ বছর আগে বিশ্বব্যাপী ঠাণ্ডা লড়াইয়ের উত্তেজনার মধ্যে শুরু হয় ভিয়েতনাম যুদ্ধ। ২০ বছর স্থায়ী ওই যুদ্ধে পরাজিত হয় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিনিদের জন্য বেদনার এই যুদ্ধে নানা মাত্রার হিংস্রতা হয়েছিল। যুদ্ধের কৌশলে ছিল নতুনত্ব।
ভিয়েতনামের সামরিক বাহিনীর যুদ্ধের কৌশলের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি কৌশল ছিল সুড়ঙ্গ। মার্কিন বাহিনীর হামলা এড়াতে ভিয়েতনামি সেনারা সুড়ঙ্গ ব্যবহার করত। প্রতিরাব্যুহ হিসেবে বেশ কিছু সুড়ঙ্গ তৈরি করেছিল তারা। যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা থেকে বাঁচতে সুড়ঙ্গে আশ্রয় নেয়ার কৌশল তৈরি করে ভিয়েতনামি সেনারা।
এই সুড়ঙ্গের খবর মার্কিন সেনাবাহিনীর কানে পৌঁছে যায়। তাদের শায়েস্তা করতে নতুন কৌশলের আশ্রয় নেয় মার্কিনিরা। বড় বড় হিংস্র ইঁদুর ছেড়ে দেয় সুড়ঙ্গে। ইঁদুরের কামড়ে অনেক ভিয়েতনামী সৈন্য আহত হয়। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগে পড়ে যায় তাদের সামরিক বাহিনী। ‘ইট মারলে পাটকেল খেতে হয়’ নীতিতে তারা নতুন পরিকল্পনা করে। এই পরিকল্পনায় ব্যবহার করা হয় সাপ।
ভিয়েতনামি সেনাবাহিনীর মতো মার্কিন বাহিনীও সুড়ঙ্গ ব্যবহার করত। যেসব সুড়ঙ্গ বেশি ব্যবহার করত মার্কিনিরা, সেগুলোকে ঘিরে মারাত্মক নকশা করা হয়। বাঁশের মধ্যে বিষধর সাপ ঢুকিয়ে বাঁশগুলো সুড়ঙ্গে রেখে দেয়া হয়।
ভিয়েতনামি সেনারা কালকেউটে সাপ বাঁশের ফোঁকড়ের মধ্যে ঢুকিয়ে সুড়ঙ্গে রেখে দেয়, যা জানতেই পারেনি মার্কিন সেনারা। যখন মার্কিন সেনারা সুড়ঙ্গে প্রবেশ করে, তখন সাপগুলো বাঁশ থেকে বেরিয়ে ছোবল দেয়। এ কালকেউটের ছোবলে সেনারা এক পা বা দুই পা’র বেশি এগোতে পারত না। দুই এক পা এগোতেই তারা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। যে কারণে এই সাপদের ভিয়েতনামিরা ‘এক পা’ অথবা ‘দুই পা’ বলে ডাকত।
সুড়ঙ্গ যুদ্ধে সাপ ব্যবহার করায় যুক্তরাষ্ট্রের কত সেনা নিহত হয়, তার সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি। তবে যুদ্ধেক্ষেত্রে সামরিক অস্ত্র হিসেবে সাপ ব্যবহারের এমন নজির হয়তো বিশ্বে আর নেই।
Powered by Blogger.