বানৌজা বঙ্গবন্ধু (F-25)
বানৌজা বঙ্গবন্ধু (F-25) |
বানৌজা বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অত্যাধুনিক লিডশিপ ফ্রিগেট যা কিনা আমাদের নৌবাহিনীর হৃদপিন্ড। এটি একটি উলসান ক্লাস ফ্রিগেট, ১৯৯৮ সালে Daewoo Shipbuilding & Marine Engineering, Republic of Korea তৈরি করে এবং ২০ জুলাই ২০০১ সালে বানৌজা বঙ্গবন্ধু নামে নেভিতে কমিশন্ড হয়। কিন্তু ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০২ সালে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে একে ডিকমিশন্ড করে রাখা হয়। এরপর ২০০৭ সালে আবার একে বিএনএস খালিদ বিন ওয়ালিদ নাম দিয়ে সার্ভিসে আনা হয়। ২০০৯ সালে আবার একে বানৌজা বঙ্গবন্ধু নামে পুনরায় নামকরণ করা হয়। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে আমাদের এই ফ্ল্যাগশিপ যুদ্ধজাহাজ মিলিটারি ইকুইপমেন্ট হয়েও অনেক রাজনৈতিক ধকল সামলেছে।😥
নামে উলসান ক্লাস হলেও একে বার বার আপগ্রেড করার ফলে বডি বাদে উলসান ক্লাসের অস্তিত্ব এর মাঝে খুজে পাওয়া যাবে না। 😂
প্রসেসিং সিস্টেম হিসেবে এতে আছে DA08 (SPQ-501/RAWS03) E/F band (S-band) এয়ার সার্চ রাডার, Kelvin Hughes 1007 I-band নেভিগেশন রাডার, LIROD Mk 2 K-band TWT ফায়ার কন্ট্রোল রাডার, এফএম-৯০ মিসাইল গাইড করার জন্যে আছে Type 345 ফায়ার কন্ট্রোল রাডার, ASO-90/ DSQS-21 মোড সোনার ইত্যাদি।
এন্টি শিপ রোলের জন্যে এতে রয়েছে প্রতিটি ৪ সেলের ২টি অটোমেট এমকে ২ এন্টি শিপ মিসাইল।🚀 এটি ৭৭০ কেজি ওজনের একটি হাই স্পীড সাবসনিক মিসাইল যা ২১০ কেজি ওয়ারহেড নিয়ে ১৮০ কিঃমিঃ দূরের যেকোনো শিপ ধ্বংস করতে পারে।💪 ৩সেলের ২টি ৩২৪ এমএম টর্পেডো টিউব। এগুলো Whitehead A244S টোর্পেডো বহন করে। মেইন গান হিসাবে রয়েছে একটি ৭৬ মিঃমিঃ Otobreda ক্যানন। এন্টি এয়ার রোলের জন্যে রয়েছে ১ টি ৮ সেলের এফএম-৯০ মিসাইল লাঞ্চার। ৪ টি ৪০ মিঃ মিঃ Otobreda CIWS। যা একসাথে এন্টি এয়ার এবং এন্টি সারফেস রোলে ব্যাবহার করা যায়।
Electronic Warfare এর জন্যে এতে আছে Cutlass 242 ESM স্যুট এবং Scorpion 2 জ্যামার। এই দুটো সিস্টেম একসাথে দুটো সি স্কীমিং ক্রুজ মিসাইল যেকুনো দিক থেকে জ্যাম করতে পারে। এছাড়া এতে রয়েছে দুটো Super Barricade চাফ লাঞ্চার যা শত্রু মিসাইল ও গাইডেড শেলকে বিভ্রান্ত করতে পারে।😎
বানৌজা বঙ্গবন্ধুতে একটি হ্যাঙ্গার রয়েছে যা একটি AgustaWestland AW109 সার্চ এন্ড রেসকিউ হেলিকপ্টার বহন করতে পারে। 🚁
Electronic Warfare এর জন্যে এতে আছে Cutlass 242 ESM স্যুট এবং Scorpion 2 জ্যামার। এই দুটো সিস্টেম একসাথে দুটো সি স্কীমিং ক্রুজ মিসাইল যেকুনো দিক থেকে জ্যাম করতে পারে। এছাড়া এতে রয়েছে দুটো Super Barricade চাফ লাঞ্চার যা শত্রু মিসাইল ও গাইডেড শেলকে বিভ্রান্ত করতে পারে।😎
বানৌজা বঙ্গবন্ধুতে একটি হ্যাঙ্গার রয়েছে যা একটি AgustaWestland AW109 সার্চ এন্ড রেসকিউ হেলিকপ্টার বহন করতে পারে। 🚁
১৭০ জন নাবিক ও ১৬ জন অফিসার নিয়ে ২৫০০ টনের এই ফ্রিগেট টি প্রপালশন করতে ৪টি SEMT-Pielstick 12V PA6V280 STC ডিজেল ইঞ্জিন দরকার হয় যা ২২৫০১ এইচপি শক্তি উৎপন্ন করে ফলে দুটো শাফটের মাধ্যমে এটি 46 km/h গতিতে ছুটতে পারে এবং ফুল ফুয়েল নিয়ে এটি ৭৪০০ কিঃমিঃ পর্যন্ত যেতে পারে।
আমাদের গর্ব এই জাহাজের মূল কাজ যদিও যুদ্ধে সবার সামনে থেকে নৌবাহিনীকে লিড করা কিন্তু ২০১৪ সালে এটি Malaysia Airlines Flight 370, a 777-200ER উদ্ধার অভিযানে বিএনএস উমর ফারুকের সাথে যোগদান করে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে।❣️🇧🇩️