উত্তর কোরিয়ার বিমান বাহিনীর বর্তমান অবস্থা
বর্তমানে উত্তর কোরিয়ার বিমান বাহিনীর এয়ার ফ্লিটে যুদ্ধবিমান, বোম্বার, হেলিকপ্টার, সামরিক পরিবহন বিমান এবং প্রশিক্ষণ বিমানের মোট সংখ্যা হয়ত প্রায় হাজারের কাছাকাছি হতে পারে। তবে বাস্তবে এই এয়ার ফ্লীটের ৭০% পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়ন আমলের তৈরি কিংবা সংগ্রহ করা হয়।
তবে দেশটির বিমান বহরে থাকা মিগ-২৯, মিগ-২১ এবং জে-৭ লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফট ব্যতীত ঠিক কতগুলো যুদ্ধবিমান এখন সচল রয়েছে তা এ মুহুর্তে বলা বেশ কঠিন। কারণ পুরোনো বিমানগুলোর অনেকগুলোই হয়তো এখন শুধু প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহৃত হয় বা সেগুলো উড্ডয়নের সক্ষমতা অনেক আগেই হারিয়েছে।
বর্তমানে উত্তর কোরিয়ার বিমান বাহিনীতে সর্বোচ্চ রেঞ্জ ও শক্তিশালী মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান হিসেবে মিগ-২৯ জেট ফাইটার রয়েছে ৩৫টি। তাছাড়া পুরনো মিগ-২১ যুদ্ধবিমান ২৬টি, মিগ-২৩ যুদ্ধবিমান রয়েছে ৫৬টি।
তাছাড়া সুখোই সিরিজের যুদ্ধবিমান এবং গ্রাউন্ড এ্যাটাক ফ্যাসালিটির এসইউ-২৫ ৩৪টি এবং অতি পুরনো এসইউ-৭ রয়েছে ১৮টি। এদিকে ষাটের দশকের মিগ-১৯ এর চাইনিজ কপি এফ-৬ রয়েছে ৯৭টি, এফ-৭ রয়েছে ১২০টি।
এদিকে কিম জন উনের বিমান বাহিনী ১৯৭১ সালে মোট ২৮টি এসইউ-৭ যুদ্ধবিমান সার্ভিসে আনে। অথচ সেই ১৯৫৫ সালে প্রথম তৈরি করে এসইউ-৭ এর প্রডাকশন লাইন ১৯৭২ সালেই বন্ধ করে দেয় সোভিয়েত ইউনিয়ন।
অথচ উত্তর কোরিয়ার কিন্তু এখনো পর্যন্ত এটিকে নিজস্ব রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে নিজ বিমান বাহিনীর এয়ার ফ্লীটে অধিকাংশ অতি পুরনো যুদ্ধবিমান অপারেশনাল রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। বর্তমানে সারা বিশ্বের মধ্যে এসইউ-৭ যুদ্ধবিমানের একমাত্র ব্যবহারকারী দেশ হচ্ছে উত্তর কোরিয়া।
একাধিক সূত্রে প্রকাশিত আনুমানিক তথ্য অনুযায়ী এ মুহুর্তে উত্তর কোরিয়ার কিম বাহিনির হাতে প্রায় ৪-৫ হাজারের অধিক (আনুমানিক) বিভিন্ন রেঞ্জের ব্যালেস্টিক মিসাইলের বিশাল মজুত রয়েছে। তার পাশাপাশি দেশটি খুব সম্ভবত ইতোমধ্যেই প্রায় ৩০-৫০টি পরমাণু অস্ত্র তৈরি করে মজুত করেছে। যদিও যৌক্তিক কারণে এবং বাস্তবে এই তথ্য উপাত্ত অনেকটাই কম বা বেশি হতে পারে।
© সেরাজুর রাহমান
মেম্বার, সমরাঙ্গন