রোমান্চকর সামরিক বিষয়বস্তু।

রোমান্চকর সামরিক বিষয়বস্তু।  

অনেক সময় আমরা সামরিক
বাহিনী নিয়ে এতো কথা বলি অথচ অনেকেই জানি না একটি প্লাটুনে বা ব্যাটালিয়নে অথবা আর্মি গ্রুপে কতজন
সৈন্য নিয়োজিত থাকে এবং কার
তত্ত্বাবধায়নে থাকে আর তাই আজকে বাংলাদেশ আর্মি সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিন এর ফলে যুদ্ধ, অপারেশন ও
অভিযানে কতজন সৈন্য নিয়োজিত
থাকে তা জানতে সাহায্য করবে।
উপমহাদেশের অনেক দেশই ব্রিটিশদের
দেওয়া পদমর্যাদা এবং আমেরিকান
মডেলে রাঙ্ক তৈরি করে এবং বাংলাদেশও এর ব্যতীত নয়।
একনজরে এর বৈশিষ্ট্যগুলো
✘ফিল্ড মার্শাল : এটা আর্মিদের সবচেয়ে বড় পদাবলী তার নেতৃত্বে দুইটি আর্মি গ্রুপে প্রায় চার লক্ষের অধিক সৈন্য নিয়োজিত
থাকে যা সামরিক বাহিনীতে রিজিয়ান
নামে পরিচিত।
✘জেনারেল : তার নেতৃত্বে থাকে দুই
লক্ষের অধিক সৈন্য এবং দুইটি আর্মি ইউনিট নিয়োজিত থাকে একে বলা হয় আর্মি গ্রুপ।
✘জেনারেল : দুইটি কোর ইউনিট সহ
পঞ্চাশ হাজার থেকে এক লক্ষ সৈন্য
নিয়োজিত থাকে এবং এর আর্মি।
✘লেফটেনেন্ট জেনারেল : দুইটি ডিভিশনের প্রায় তিরিশ হাজার থেকে পঞ্চাশ হাজার সৈন্য থাকে এবং এর নাম বলা হয়. কোর।
✘মে.জেনারেল : ২ -৪ টি রেজিমেন্ট
নিয়ে গঠিত হয় একটি ডিভিশন এবং এর
সৈন্য সংখ্যা বিশ -তিরিশ হাজার।
✘বি.জেনারেল : তিনশো থেকে পাঁচশো জন সৈন্য নিয়ে গঠিত হয় একটি ব্রিগেড যার ভিতরে থাকে তিন থেকে ছয়টি ব্যাটালিয়ন।
✘বিগ্রেডিয়ার /কর্ণেল : যার অধীনে থাকে দুইশো হতে তিনশো সৈন্য এবং এটি দুই বা তিনটি ব্যাটালিয়ন নিয়ে গঠিত। এর নাম রেজিমেন্ট।
✘লে.কর্ণেল : যার নেতৃত্বে থাকে দুই-ছয়টি কোম্পানি এবং এই কোম্পানি নিয়ে গঠিত
একটি ব্যাটালিয়ন এবং সৈন্য
একশো হতে তিনশো।
✘মেজর/কাপ্টেন : সত্তর হতে আড়াইশো সৈন্য নিয়ে গঠিত ও দুই থেকে আট প্লাটুন নিয়ে তৈরি হয় কোম্পানি।
✘লেফটেনেন্ট : দুইয়ের অধিক স্কোয়াডে পচিঁশ থেকে ষাট জন দলে বিভক্ত হয়। একে বলা হয় প্লাটুন।
(বিঃদ্রঃ আমি শুধু অফিসাররা নেতৃত্বে দেয় এরকম ইউনিটের নাম উল্লেখ
করেছি পরবর্তী সৈন্য বিভক্তে অভিজ্ঞ সৈন্য/সার্জেন্ট নেতৃত্বে দেয়)


Powered by Blogger.