সৌদি জোট-তুরস্ক কতৃক সিরিয়ায় সেনা অগ্রাসন।

সৌদি জোট-তুরস্ক কতৃক সিরিয়ায় সেনা অগ্রাসন।

সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি জোট-তুরস্ক কতৃক সিরিয়ায় সেনা অগ্রাসনের খবর খুব আলোচিত ও সমালোচিত। আমি প্রথমে বলব যুদ্ধ কোনদিন শান্তি বয়ে আনতে পারে।যুদ্ধ সব সময় ধব্বংসকে সাপোর্ট দেয়।সিরিয়ায় যদি সৌদি জোট-তুরস্ক জোট সত্যি সেনা পাঠায় এটা হবে তাদের সবচেয়ে মারাত্মক ভূল।এতে সেখানকার পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলবে।যুদ্ধ হলে সেখানে কেউ জয় পাবে না।।এখানে তারা যদি সেনা পাঠায় দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ হবে। সৌদি জোট-তুরস্ক বনাম রাশিয়া সিরিয়া,ইরান। আমি এখানে বলে রাখি সৌদি আরব কে সেনা পাঠানোর জন্য উস্কে দিচ্ছে তাদের মুরব্বি আমেরিকা।আপনারা হয়ত দেখে থাকবেন সৌদি আরব সেনা পাঠাচ্ছে,সৌদি সরকার প্রকাশ করার আগেই তা ঘোষনা করছে, আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আ্যশটন কার্টার। তাদের দাবি অনুযায়ি উগ্র সন্ত্রাসী
গোষ্ঠী আইএসআইএল বা দায়েশকে
পরাজিত করতে আন্তর্জাতিক
জোটের অধীনে লড়াই করবে
সৌদি আরব।আসলে তারা এখানে লড়াই করবে ঐ তিন রাষ্ট্রের বিরোদ্ধে।এখানে সার্থ হাসিল হবে আমেরিকার।কিছুদিন আগে আপনারা শুনে থাকবেন,আসাদ এবং বিরোধিদের মধ্যে চুক্তি হবে।চুক্তি হলেও এখানে শান্তি আসবেনা।কেননা তারা আবার আইএস কে লেলিয়ে দেবে।সিরিয়ায় আমেরিকার যতদিন চাহিদা রয়েছে,ততদিন সেখানে শান্তি আসবে না।এখন বিরোধীদের সাথে চুক্তি হচ্ছে, তখন আইএস দিয়ে হামলা করবে।এখানে সব দিক দিয়ে লাভ হবে আমেরিকার। তাদের অস্ত্র বিক্রি বেড়ে যাবে।অধিপত্য বৃদ্ধি পাবে।আমেরিকার চাল টা হচ্ছে কাটা দিয়ে কাটা তুলা।অর্থ্যাৎ মুসলিম দিয়ে মুসলিম দমন করা।মুসলিম বিশ্বের দুই বৃহৎ শক্তি সৌদি আরব এবং তুরস্ক। আমেরিকা চাইছে,বন্ধুত্তের নাম দিয়ে তাদের দুর্বল করা।শেষে তাদের অবস্তা হবে ইরাকের মত।যেমনটা আমেরিকা ইরাক-ইরান যুদ্ধ লাগিয়ে দিয়েছিল।সেভাবে ইরাককে দুর্বল করা হয়েছিল।।মানে চাহিদা শেষ হয়ে গেলে যুদ্ধ ঘোষনা করা।আমেরিকা চাইছে ১ ঢিলে ৪ পাখি মারার।যুদ্ধ শুরু হলে একদিকে সিরিয়া,ইরান, রাশিয়া এবং তুরস্ক -সৌদি জোটের আর্থিক অথবা অবকাঠামোর দিক দিয়ে ক্ষতি হবে।এখানে আপনি খেয়াল করুন,বিপক্ষ রাষ্ট্র গুলো আমেরিকার শত্রু এবং পক্ষ রাষ্ট্র গুলো মুসলিম দেশ। সিরিয়ায় সংঘাত জোরদার
হলে তা বহু রাজার গদি ও রাজ্যকে ধ্বংস করবে এবং কয়েক মিলিয়ন মানুষ প্রাণ হারাতে পারে। আর সিরিয়ায় রুশ ঘাঁটিগুলোর ওপর বোমা বর্ষণ করা হলে রাশিয়ার সেনারা
অপ্রচলিত অস্ত্র ব্যবহার করবে। । প্রকৃতপক্ষে সিরিয়ায় সেনা পাঠানোর ক্ষমতা সৌদি জোটের নেই।ইতোমধ্যে সৌদি আরবের
১০ জন উচ্চ-পদস্থ কমান্ডার দেশটির যুবরাজের কাছে চিঠি পাঠিয়ে ইয়েমেনের যুদ্ধে ব্যর্থতার
কথা স্বীকার করেছেন। তারা সিরিয়ায় সৌদি স্থল-সেনা পাঠানোর
পরিকল্পনার কঠোর বিরোধিতা করেছেন। তারা বলেছেন, এ ধরনের
পদক্ষেপের পরিণতি হবে খুবই বিপজ্জনক।প্রকৃতপক্ষে সিরিয়ায় স্থল-সেনা পাঠানো হলে তা সৌদিআরবের জাতীয় নিরাপত্তাকে বিপদাপন্ন
করবে এবং এর পরিণতি হবে মারাত্মক।যেমনটা আমরা কয়েকদিন আগে তুরস্কে দেখেছিলাম।তাছাড়া এ নিয়ে কিছু মহল ভুল সংবাদ দিচ্ছে।ঐ কাম্বো কপ্টার টি এই ভুল সংবাদ এর অংশ।
Powered by Blogger.