ক্রুসার > ডেস্ট্রয়ার > ফ্রিগেট > কর্ভেট & ওপিভি/এলপিসি এর মধ্যকার পার্থক্যঃ-

ক্রুসার > ডেস্ট্রয়ার > ফ্রিগেট > কর্ভেট & ওপিভি/এলপিসি এর মধ্যকার পার্থক্যঃ-


মূলত প্রাথমিক ভাবে যুদ্ধজাহাজ গুলোকে এর আকার, অস্ত্র বহন ক্ষমতা ও প্রযুক্তি এর উপর নির্ভর করে সেটি কোন শ্রেনীর জাহাজ।


ক্রুসার যুদ্ধজাহাজ



★★★#ক্রুসার_যুদ্ধজাহাজঃ- এই শ্রেনীর জাহাজ গুলো যেমন বড় তেমনি এর ফায়ার পাওয়ার ও বৃহৎ। মূলত ক্রুসার যুদ্ধজাহাজ কে অস্রের গুদাম জাহাজ বলা হয়, কারন এতে প্রচুর পরিমাণে মিসাইল থাকে যার প্রায় সব ই লংরেঞ্জ এর হয়ে থাকে। ক্রুসার যুদ্ধজাহাজ গুলো ৫৬৭-৮২৭ ফিট অব্দি দৈর্ঘ্যে ও এর ওজন ৯৮০০-২৮০০০ টন অব্দি হয়ে থাকে। এই ধরনের জাহাজ গুলোতে সকল ধরনের মিসাইল মজুদ থাকে যার ভেতর ব্যালিস্টিক মিসাইল ও লং রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম উল্লেখযোগ্য। বর্তমানে শুধুমাত্র আমেরিকা ও রাশিয়ার কাছে এই ক্লাসের যুদ্ধজাহাজ আছে। রাশান কিরভ ক্লাস হচ্ছে পৃথিবীর আজ অব্দি নির্মিত সবথেকে বড় ক্রুসার যুদ্ধজাহাজ যা মার্কিন ক্রুজার এর প্রায় ৩ গুন বৃহৎ।
  


ডেস্ট্রয়ার যুদ্ধ জাহাজ


★★★ ডেষ্টায়ার যুদ্ধজাহাজঃ
মূলত ডেস্ট্রয়ার যুদ্ধজাহাজ গুলো ক্রুসার এর থেকে অপেক্ষাকৃত ছোট বা কম ফায়ারপাওয়ার এর হয়ে থাকে। বিশ্বের প্রায় ২০ টি দেশের কাছে এই ধরনের জাহাজ আছে। মূলত এগুলো নৌবহর এর নিরাপত্তা ও গভীর সমুদ্রে নীরাপত্তা ও এয়ার ডিফেন্স এর কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। এই শ্রেণীর জাহাজগুলি কে আধুনিক নৌ যুদ্ধের প্রধান শক্তি বলে বিবেচিত করা হয়। এই ধরনের ম্যাক্সিমাম জাহাজ কে এয়ার ডিফেন্স এর দিকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে তৈরি করা হয়, তার ফলে এতে মধ্যম-লংরেঞ্জ SAM থাকে সাথে ক্রুস মিসাইল ও এন্টিশীপ মিসাইল থাকে এবং এর অস্ত্রবহন ক্ষমতা ক্রুসার এর চাইতে তুলনামূলক কম হয়ে থাকে। এই ক্যাটাগরির জাহাজ গুলো ৪৫০-৫৫০ ফিট দৈর্ঘ্যে ও ওজন ৫,০০০-১১,০০০ টন অব্দি হয়ে থাকে। বর্তমানে দঃকোরিয়ার 'সিজং দ্যা গ্রেট ক্লাস' সবচাইতে বৃহৎ ডেস্ট্রয়ার যা মার্কিন ক্রুসার এর সমান ( তবুও নাম ডেস্ট্রয়ার ...................... )
.

ফ্রিগেট  যুদ্ধজাহাজ


 ★★★ ফ্রিগেট  যুদ্ধজাহাজঃ 
পৃথিবীর প্রায় সকল দেশের নৌবাহিনী এই ক্যাটাগরির যুদ্ধজাহাজ ব্যবহার করে। এই ধরনের যুদ্ধজাহাজ দেশের সমুদ্রসীমা রক্ষার গুরুদায়িত্ব পালন করে। সাধারণত ৩৩০-৪৮০ ফিট দৈর্ঘ্যে ও ওজন ২,৫০০-৬,৯০০ টন অব্দি হয়ে থাকে। এই ধরনের যুদ্ধজাহাজ এ সল্প থেকে মধ্যম পাল্লার মিসাইল ও অস্ত্রশস্ত্র থাকে,,, এই ধরনের জাহাজে এন্টিশীপ মিসাইল, সল্প-মধ্যম পাল্লার SAM, টর্পেডো, ক্যানোন থাকে সল্প সংখ্যক। কিন্তু বর্তমানের উন্নত প্রায় সকল ফ্রিগেট প্রায় ডেস্ট্রয়ার এর সমকক্ষ, কারন এখনকার ম্যাক্সিমাম ফ্রিগেট গুলোকে উন্নত অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত করা থেকে, লং রেঞ্জ মিসাইল ও স্থাপন করা হচ্ছে,,, অধিক অস্ত্রশস্ত্র, উন্নত প্রযুক্তি ও আকারের কারনে এগুলোকে হেভি-ফ্রিগেট বা লাইট ডেস্ট্রয়ার বলা হয়। এই ধরনের জাহাজে ডেস্ট্রয়ার এর মত VLSs ব্যবহার করা হয়। যেমন নেদারল্যান্ড এর DE ZEVEN PROVINCIEN CLASS, জার্মানির SACHSEN CLASS, রাশিয়ার ADMIRAL GORSHKOV CLASS ইত্যাদি।
কর্ভেট_যুদ্ধজাহাজঃ

.
★★★#কর্ভেট_যুদ্ধজাহাজঃ- সাধারণত সমুদ্র উপকূল পাহারা দিতে বা মেরিটাইম ইকনোমিক জোন এর সুরক্ষাব্যাবস্থা সরূপ এই ক্যাটাগরির জাহাজ ব্যবহার করা হয় যা তুলনামূলক ফ্রিগেটের চাইতে ছোট এবং কম ফায়ারপাওয়ার বিশিষ্ট। এই ধরনের জাহাজে মধ্যম পাল্লার এন্টিশীপ মিসাইল, সল্প পাল্লার SAM, কিউস, টর্পেডো থাকে। আকারে ছোটো হলেও বর্তমান যুগের ম্যাক্সিমাম কর্ভেট জাহাজ ই ফায়ার পাওয়ার এর দিক থেকে বেশকিছু ফ্রিগেটের সমকক্ষ তাই এখন কার কিছু কর্ভেট গুলোকে লাইট ফ্রিগেট ও বলা হয়। এই ধরনের জাহাজ গুলো সাধারণত দৈর্ঘ্যে ২৪০-৩৬০ ফিট ও ওজনে ৬৪০-৩,৫০০ টন অব্দি হয়ে থাকে। যেমন বাংলাদেশ এর "Type-056 স্বাধীনতা ক্লাস কর্ভেট" এর অস্ত্রসম্ভারের কারনে একে লাইট ফ্রিগেটও বলা হয়। এ ধরনের জাহাজ সল্প মাত্রার নৌযুদ্ধে অংশ নিতে বা ফ্রিগেট, ডেস্ট্রয়ার কে কাভার দিতে সক্ষম।
 





#OPV & LPC:- Offshore Patrol Vessel ও Large patrol craft হলো যুদ্ধজাহাজ শ্রেনীর শেষধাপ। মূলত উপকূল ও নৌবন্দর পাহারা দিতে এই ধরনের জাহাজ ব্যবহার করা হয়। এগুলো আকারে ছোট। সাধারণত এগুলোতে নেভাল গান, মেশিনগান, রকেট লাঞ্চার/গ্রেনেড লাঞ্চার থাকে,,, কিছু কিছু ভ্যাসেলে সল্পপাল্লার মিসাইল ও থাকে যেমন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর "Durhoy Class LPC",, এগুলোতে সল্পপাল্লার C-704 AShM আছে ২ টি করে।
.
 
Powered by Blogger.