যখন বাংলাদেশের সাথে মায়ানমারের যুদ্ধ পরিস্থিতি...
সময়টা ২০০৭ সাল।বাংলাদেশে তখন কোন নির্বাচিত সরকার ছিল না।তৎকালীন
তত্বাবধায়ক সরকার দেশ শাসন করছিলো। সেই সময়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে
নতুন উত্তেজনা দেখা দেয়।সীমান্ত এলাকায় দুই দেশই সৈন্য সমাবেশ করে।মুখোমুখি
অবস্থান নেয়।
ফেব্রুয়ারি মাসের দিকে হঠাত মিয়ানমার বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার ভিতর অয়েল রিগ বসানো শুরু করে।কিন্তু বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বাধার মুখে তাদের কাজ পন্ড হয়ে যায়।কিন্তু তাও তারা থেমে থাকেনি।
২০০৭ সালের এপ্রিল মাস।চট্টগ্রামে অন্যসব দিনের মত ৮ তারিখ ও শুরু হয়েছিলো স্বাভাবিকভাবে।স
কাল
১১টার দিকে হঠাত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এক যুদ্ধজাহাজের রাডারে ধরা পরে
বেশকিছু নৌযান। এরা মিয়ানমারের জলসীমা থেকে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ
করছিলো।সাথে সাথে কমান্ড সেন্টারে এই অনুপ্রবেশের খবর জানানো হয়।কিছুক্ষনের
মধ্যেই সেইসময়কার একমাত্র গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেট বিএনএস ওসমান কে দুইটি
মিসাইল বোট সহকারে পাঠানো হয়।মিয়ানমার বাংলাদেশের জলসীমায় ৪টি গানবোট
পাঠায়।পুরো পতেঙ্গা এলাকায় রেড এলার্ট জারি করা হয়।কিন্তু এখানেই শেষ
নয়।মিয়ানমার বিমান বাহিনীর ২টি F-7 যুদ্ধবিমান বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজের
উপর বেশ কয়েকবার চক্কর দেয়।সেই সময়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী তাদের ৮টি
মিগ-২৯, ১২টি F-7MB ও নজরদারীর জন্য একটি রাশিয়ান Antonov An-32 বিমান
কক্সবাজার এয়ারপোর্ট এ পাঠায়। মিগ-২৯ গুলোকে ২৪/৭ স্ট্যান্ডবাই করে রাখা হয়
যে কোন আক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য।F-7 গুলোকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য রাখা
হয়।বাংলাদেশ যুদ্ধবিমান মোতায়নের খবর পেয়ে মিয়ানমার তাদের SAM system
মোতায়ন করে।ফলে এক সত্যিকার যুদ্ধপরিস্থিতি তৈরি হয়।
এই সময় নিয়ে সেই সময়কার An-32 এর পাইলট একটি সাৎকাক্ষার দিয়েছিলেন।তিনি বলেছিলেন যে তারা প্রতিদিন সেখানে নজরদারি করার জন্য যেতেন।বেশকয়েকবা র মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান তাদের উপর দিয়ে ফ্লাই করে যেত।তাদের সবসময় শুটডাউন হওয়ার ভয় ছিলো।কিন্তু তারা পিছুপা হননি।
প্রায় ২০ দিন বাংলাদেশ ও মিয়ানমার নৌবাহিনী মুখোমুখি অবস্থানে ছিলো। শেষপর্যন্ত কুটনৈতিকভাবে এ সমস্যার সমাধান করা হয় এবং মিয়ানমার তাদের অয়েল রিগ সরিয়ে নিয়ে যায়।
এরপর তৎকালীন তত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সর্বাধুনিক ফ্রিগেট বিএনএস বঙ্গবন্ধু কে রিকমিশন করে বিএনএস খালিদ বিন ওয়ালিদ নামে এবং এতে ইটালি থেকে আনা Otomat MK-2 block IV ইন্সটল করা হয়।মিয়ানমার বিমান বাহিনী এই ঘটনার পর তাড়াতাড়ি করে বেলারুশ থেকে ২৪ টি এবং পরে আরো ৮টি মিগ-২৯ সংগ্রহ করে এবং নিজেরা ফ্রিগেট বানানো শুরু করে।
ফেব্রুয়ারি মাসের দিকে হঠাত মিয়ানমার বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার ভিতর অয়েল রিগ বসানো শুরু করে।কিন্তু বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বাধার মুখে তাদের কাজ পন্ড হয়ে যায়।কিন্তু তাও তারা থেমে থাকেনি।
২০০৭ সালের এপ্রিল মাস।চট্টগ্রামে অন্যসব দিনের মত ৮ তারিখ ও শুরু হয়েছিলো স্বাভাবিকভাবে।স
এই সময় নিয়ে সেই সময়কার An-32 এর পাইলট একটি সাৎকাক্ষার দিয়েছিলেন।তিনি বলেছিলেন যে তারা প্রতিদিন সেখানে নজরদারি করার জন্য যেতেন।বেশকয়েকবা
প্রায় ২০ দিন বাংলাদেশ ও মিয়ানমার নৌবাহিনী মুখোমুখি অবস্থানে ছিলো। শেষপর্যন্ত কুটনৈতিকভাবে এ সমস্যার সমাধান করা হয় এবং মিয়ানমার তাদের অয়েল রিগ সরিয়ে নিয়ে যায়।
এরপর তৎকালীন তত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সর্বাধুনিক ফ্রিগেট বিএনএস বঙ্গবন্ধু কে রিকমিশন করে বিএনএস খালিদ বিন ওয়ালিদ নামে এবং এতে ইটালি থেকে আনা Otomat MK-2 block IV ইন্সটল করা হয়।মিয়ানমার বিমান বাহিনী এই ঘটনার পর তাড়াতাড়ি করে বেলারুশ থেকে ২৪ টি এবং পরে আরো ৮টি মিগ-২৯ সংগ্রহ করে এবং নিজেরা ফ্রিগেট বানানো শুরু করে।