ভয়ানক তেজস্ক্রিয়তা কি? এটা সম্পর্কে বিস্তারিত।
তেজস্ক্রিয়তার সিম্বল |
♦♦তেজস্ক্রিয়তার কি?.
প্রতিটি মৌলিক পদার্থের পরমাণুর ওজন এর নিউক্লিয়াস-এর মধ্যস্থ নিউট্রন ও প্রোটন-এর সমষ্টির সমান। যে-সব মৌলের পরমাণুর ওজন বেশী (সাধারণতঃ ২০০-এর উপর বা এর কাছাকাছি) তাদের বলা হয় ভারী মৌল। এ-সব ভারী মৌলিক পদার্থের নিউক্লিয়াস থেকে স্বতঃস্ফূর্ত-ভাবে অবিরত আলফা, বিটা ও গামা রশ্মি নির্গত হয়, এই প্রক্রিয়াকে-ই তেজষ্ক্রিয়তা বলে।যারা সাইন্সের ছাত্র তারা বুঝবেন। বাকিরাও বুঝে নিবেন। ১৮৯০ সাল থেকে ১৯০০ সালে হেনরী বেকরেল এবং মেরি ক্যুরি ও পিঁয়ের ক্যুরি পৃথক পৃথক-ভাবে তেজস্ক্রিয় পদার্থ আবিষ্কার করেন।তেজষ্ক্রিয় পদার্থ সাধারনতঃ আলফা, বিটা ও গামা নামক তিন ধরনের তেজষ্ক্রিয় রশ্মি বিকিরণ করে থাকে, তবে কিছু ক্ষেত্রে পজিট্রন, নিউট্রন, নিউট্রিনো
ইত্যাদিও নির্গত হয়; । তেজষ্ক্রিয়তা একটি সম্পূর্ণ নিউক্লিয় ঘটনা, এর মাধ্যমে নিউক্লিয়াসের ভাঙনের ফলে একটি মৌল আরেকটি নতুন মৌলে রূপান্তরিত হয়।
তেজস্ক্রিতার মাত্রার ফলে ১জন মানুষের যে সমস্যা হয়??
মানবদেহে তেজস্ক্রিয়তার ইফেক্ট |
৪-টি ধাপ রয়েছে...
প্রথম ধাপঃ... ২৫ রেম পর্যন্ত তেজস্ক্রিয়তা শরীরে গ্রহণ করলে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে-না, কারণ এটা সহনীয় মাত্রা;
দ্বিতীয় ধাপঃ... ২৫ রেম হতে ১০০ পর্যন্ত
তেজস্ক্রিয়তা গৃহীত হলে রক্ত এবং কোষে সামান্য কিছু প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়, তবে তা দীর্ঘ মেয়াদে ঘটে এবং মারাত্মক কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় না;
তৃতীয় ধাপঃ... মাত্রা ১০০ রেম হতে ৩০০ পর্যন্ত শারীরিক কিছু উপসর্গ দেখা যাবে; যেমনঃ শারীরিক ও স্নায়বিক দূর্বলতা, বমি-বমি ভাব হওয়া, হালকা মাথা ধরা, রক্তের শ্বেত-কণিকার পরিমাণ হ্রাস পাওয়া প্রভৃতি। এ-ক্ষেত্রে অবশ্যই
চিকিৎসা নিতে হবে; সঠিক ও সময়োপযোগী সু- চিকিৎসার ফলে ভয়াবহ-কোনো সমস্যা সাধারণতঃ ঘটে-
না;
চতুর্থ ধাপঃ... মাত্রা ৩০০ রেম-এর অধিক হলে চূড়ান্ত ক্ষতি এমন-কি মৃত্যু-ও (৪৫০ রেম-এ) ঘটতে পারে। এর
লক্ষণগুলো হচ্ছেঃ চুল পড়া, চামড়া
কুচকে যাওয়া, চামড়ায় কালো দাগ পড়া, কোষ-এর মারাত্মক ক্ষয় প্রভৃতি। যদি সময়োচিত চিকিৎসা না-করা
হয় তাহলে এ-ধরনের রোগীরা ২ হতে ১৪
দিনের মধ্যে মৃত্যু-বরণ করেন।