দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ২৯বছর পর আত্মসমর্পণকারী সৈনিক
জ্বি,হেডলাইনে ঠিক দেখছেন। ভাবছেন হয়তো ,যুদ্ধ শেষ হবার ২৯ বছর পরে কোন সৈনিক আত্মসমর্পণ করেন কিভাবে? ধারণা নেই তো? তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক সেই ইতিহাস।
হিরো ওনোডা ছিলেন জাপানের একজন ইন্টিলিজেন্স অফিসার যার কাজ ছিল ফিলিপাইনের লুবাং দ্বীপে শত্রুপক্ষের যেকোন মুভমেন্ট নস্যাৎ করে দিয়ে শত্রুর এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করা। এর মধ্যে বিমানবন্দরের রানওয়ে,এয়ারস্ট্রিপ ধ্বংসা করার মতন কাজও ছিল। সালটা ছিল ১৯৪৪।হিরোর কমান্ডার তাকে নির্দেশ দিলেন,যেকোন অবস্থায় তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার এবং কোন অবস্থাতেই হাল না ছেড়ে দিতে বা আত্মহত্যা করতে। তিনি ওয়াদা করলেন যে তিনি অবশ্যই হিরোকে নিয়ে যেতে ফিরে আসবেন। কিন্তু,বছর গেল এবং ১৯৪৫ সালে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা ফেলার পর জাপান আত্মসমর্পণ করলেও হিরোর কথা একেবারেই যেন ভুলে গেল সবাই।ইতোমধ্যে প্লেনে করে বেশ কয়েকবার লিফলেটের মাধ্যমে জাপানের আত্মসমর্পণের খবর প্রচারও করা হয় এবং সেখানে সাফ সাফ লেখা ছিল যে যুদ্ধ ১৫ আগস্ট শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু,হিরো সেসবকে মিত্রবাহিনীর অপপ্রচার ও প্রপোগান্ডা বলে ধরে নিলেন।
যুদ্ধের ২৯ বছর পর ১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে একজন জাপানিজ ভ্রমণকারী লুবাং দ্বীপে হিরোকে খুঁজে পান এবং হিরোকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু,হিরো কোনভাবেই নিজের কমান্ডারের অর্ডার ছাড়া ফিরে যেতে চাননি। অবশেষে মার্চের ৯ তারিখে,হিরোর প্রকৃত কমান্ডার মেজর ইয়োশিমি তানুগুচি সেখানে গিয়ে তাকে ফেরার অর্ডার দিলে হিরো ফিরে আসেন। এরমধ্যে বেশ কয়েকবার হিরো পুলিশকে গুলি করা,সশস্ত্র হামলা করার ঘটনা ঘটালেও জাপানে ফেরার পর তাকে ক্ষমাপ্রদান করা হয়।
এবং হিরোর আরিসাকা রাইফেল ও তলোয়ার হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে অবশেষে অবসান ঘটে ৩০ বছরের যুদ্ধের।
হিরো ওনোডা ছিলেন জাপানের একজন ইন্টিলিজেন্স অফিসার যার কাজ ছিল ফিলিপাইনের লুবাং দ্বীপে শত্রুপক্ষের যেকোন মুভমেন্ট নস্যাৎ করে দিয়ে শত্রুর এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করা। এর মধ্যে বিমানবন্দরের রানওয়ে,এয়ারস্ট্রিপ ধ্বংসা করার মতন কাজও ছিল। সালটা ছিল ১৯৪৪।হিরোর কমান্ডার তাকে নির্দেশ দিলেন,যেকোন অবস্থায় তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার এবং কোন অবস্থাতেই হাল না ছেড়ে দিতে বা আত্মহত্যা করতে। তিনি ওয়াদা করলেন যে তিনি অবশ্যই হিরোকে নিয়ে যেতে ফিরে আসবেন। কিন্তু,বছর গেল এবং ১৯৪৫ সালে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা ফেলার পর জাপান আত্মসমর্পণ করলেও হিরোর কথা একেবারেই যেন ভুলে গেল সবাই।ইতোমধ্যে প্লেনে করে বেশ কয়েকবার লিফলেটের মাধ্যমে জাপানের আত্মসমর্পণের খবর প্রচারও করা হয় এবং সেখানে সাফ সাফ লেখা ছিল যে যুদ্ধ ১৫ আগস্ট শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু,হিরো সেসবকে মিত্রবাহিনীর অপপ্রচার ও প্রপোগান্ডা বলে ধরে নিলেন।
যুদ্ধের ২৯ বছর পর ১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে একজন জাপানিজ ভ্রমণকারী লুবাং দ্বীপে হিরোকে খুঁজে পান এবং হিরোকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু,হিরো কোনভাবেই নিজের কমান্ডারের অর্ডার ছাড়া ফিরে যেতে চাননি। অবশেষে মার্চের ৯ তারিখে,হিরোর প্রকৃত কমান্ডার মেজর ইয়োশিমি তানুগুচি সেখানে গিয়ে তাকে ফেরার অর্ডার দিলে হিরো ফিরে আসেন। এরমধ্যে বেশ কয়েকবার হিরো পুলিশকে গুলি করা,সশস্ত্র হামলা করার ঘটনা ঘটালেও জাপানে ফেরার পর তাকে ক্ষমাপ্রদান করা হয়।
এবং হিরোর আরিসাকা রাইফেল ও তলোয়ার হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে অবশেষে অবসান ঘটে ৩০ বছরের যুদ্ধের।