পৃথিবীর ৮৫% জনপদ ধব্বংস করার জন্য যথেষ্ট


১৯৪৯ সালে ২৯ আগষ্ট ২২ কিলোটনের আরডিএস-১ ব্লষ্ট করে সারাবিশ্বকে জানান দেয় তারও মানব সভ্যতা ধব্বংস করার আলাদীনের চেরাগ বা পারমাণবিক বোমা হাতে পেয়েছে।এই আবিস্কারে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছিল আমেরিকা। কেননা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পারমাণবিক বোমার মুকুট নিয়ে প্রত্যেক দেশে গিয়ে চাঁদাবাজি করেছে।এর পর থেকেই শুরু হয় কোল্ড ওয়ার।

সোভিয়েত ইউনিয়ন পারমাণবিক অস্ত্র আবিষ্কারের পর আমেরিকার সামনে দুটি অপশন থাকে।হয় সোভিয়েতের সাথে আলোচনা করা না হয় আরো শক্তিশালী বোমা আবিস্কার করা।সুতরাং আমেরিকা ১৯৫২  সালের ১ নভেম্বর ১০.৪ মেগাটন ক্ষমতা সম্পন্ন হাইড্রোজেন বোমার পরিক্ষা চালায়।পরিক্ষা চালানোর পর সোভিয়েতের খাওয়া দাওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।এর কিছুদিন পর মানে ১৯৬১ সালে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বোমা বা দ্যা ফাদার অব নিউক্লিয়ার বোমার পরিক্ষা চালায়।

 যার ধব্বংস ছিল ৫০ মেগাটন।জার বোম্বার সম্পর্কে রাশিয়ার পারমানুবিদ আন্দ্রো সাখরাভ বলেছিলেন।এটি যদি বড় কোন শহরে নিক্ষেপ করে তাহলে তার পাশের দেশও রক্ষা পাবে না।কোন একটি দেশ ধব্বংস করতে এটির ব্যাবহার, অতিবেশি হয়ে যাবে।কেননা এটি যদি কোন শহরে নিক্ষেপ করা হয় তাহলে পৃথিবীর বেশিরভাগ জায়গায় এর রেডিয়েশন ছড়িয়ে যাবে।এর রেশ কাটতে না কাটতেই ১৯৬২ সালে ২৪.২ মেগাটন ক্ষমতা সম্পন্ন মিসাইল ওয়ারহেডর সফল পরিক্ষা চালায়। 


যার ধব্বংস ক্ষমতা বলতে গেলে ৫০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের একটা এলাকা নিমেষেই মরুভূমি বানিয়ে দেওয়া সম্ভব। সর্বোমোট রেডিয়েশনে ১৫০ কিলোমিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। একই বছর শেষের দিকে আবার ২১ মেগাটন ক্ষমতা সম্পন্ন এয়ারড্রপ হাইড্রোজেন বোমার পরিক্ষা চালায় । ১৯৪৯ সাল থেকে ১৯৮৯ পর্যন্ত সোভিয়েতরা প্রায় ৭১৫ বার পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।যার মধ্যে ডিভাইস ছিল ৯৯১টি। এই ৯৯১ টি ডিভাইসের সর্বমোট ক্ষমতা ছিল ২৯৭ মেগাটন। যা পুরো পৃথিবীর ৮৫% জনপদ ধব্বংস করার জন্য যথেষ্ট।
Powered by Blogger.