বাংলাদেশের তিন পার্বত‌্য জেলার সমস্যা নিরসনে বিশেষ পোষ্ট


বাংলাদেশের তিনটি প্রশাসনিক জিলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবন এর মোট ১৩,২৯৫ বর্গকিলোমিটার বা ৫০৯৩ বর্গমাইল এলাকা পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্তর্ভুক্ত। ১৮৬০ সালে চট্টগ্রাম হতে পৃথক করে জেলার মর্যাদা প্রদান কালে এর আয়তন ছিল ৬,৭৯৬ বর্গমাইল। ১৯০১ সালে এর আয়তন হ্রাস পেয়ে ৫,১৩৮ বর্গমাইলে দাঁড়ায়।

সবশেষে ১৯৪৭ সালে ৫০৯৩ বর্গমাইল এলাকা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম পূর্ব বাংলায় তথা পাকিস্তানে যোগ করা হয় অর্থাৎ ৮৭ বছরে (১৮৬০-১৯৪৭) ১৭০৩ বর্গমাইল এলাকা পার্বত্য চট্টগ্রামহতে ছিনিয়ে নেয়া হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের সাধারণ আয়তন ৫০৯৩ বর্গমাইল হলেও এর প্রাকৃতিক তথা বাস্তব আয়তন অনেক বেশি। পার্বত্যভূমি আর সমতল ভূমির আয়তন প্রাকৃতিক কারণে এক ধরনের নয়। যেমন পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির উপর অবস্থিত একটি পাহাড় খন্ডের পাদদেশ, ঢাল, মধ্যবর্তী ভাঁজ, উপরিভাগ ও তলদেশের চড়া বা জমিসহ জ্যামিতিক পরিমাপ করলে প্রতি বর্গমাইল এলাকা বেড়ে সোয়া দুই বর্গমাইলে পরিণত হয়। এই দৃষ্টিকোণ হতে পার্বত্য চট্টগ্রামেরবাস্তব আয়তন হবে কমপক্ষে ১১,৪৫৯.২৫ বর্গমাইল।
পার্বত‌্য চট্টগ্রাম
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে পাহাড়ে শান্তির বাস্তবায়ন অবাধারিত করে। এর আওতায় উগ্রবাদীরা অস্ত্র সমর্পণ করে। কথা ছিল ধারাবাহিকভাবে এই চুক্তির ধারাগুলো বাস্তবায়ন হবে।যার ৯৫% অলরেডি করা হয়েছে কিন্তু শান্তি বাহিনী সরকারের দেওয়া একটা চুক্তির অঙ্গিকারও পুরন করে নি।যেমন চুক্তির শর্ত মোতাবেক

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ গঠন,
ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ভূমি কমিশন গঠন,
আঞ্চলিক পরিষদ ও জেলা পরিষদের কাছে বিভিন্ন বিষয় হস্তান্তরকরণ,
উদ্বাস্তু পুনর্বাসনের জন্য টাস্কফোর্স গঠন,
পার্বত্যাঞ্চল থেকে দুই শতাধিক সেনা ছাউনি প্রত্যাহার।
সবগুলোই বাস্তবায়ন হয়ে গেছে।
শান্তিচুক্তির শুরু থেকে আদিবাসী জনসংহতি সমিতি চুক্তির পক্ষে ছিল। আর ইউপিডিএফ শান্তিচুক্তির বিরোধিতা করে আসছে।কোনো কোনো মহল এই চুক্তির বিপক্ষে যেমন নেতিবাচক সমালোচনা করেছে অন্যদিকে
বিভিন্ন দেশীয় আন্তর্জাতিক মহল কর্তৃক ব্যাপকভাবে প্রশংসিতও হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির অভিযোগ শান্তিচুক্তির বেশিরভাগ বাস্তবায়িত হয়নি অপরদিকে চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটি তথা সরকার চুক্তির অধিকাংশ শর্তই বিগত ৩৫ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বায়ত্বশাসনের দাবীতে শান্তিবাহিনী ও অন্যান্য সশস্ত্র উপজাতীয়দের হামলায় প্রায় ৩৬ হাজার সৈন্য, বিদ্রোহী ও বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম আজও রক্তাক্ত, ক্ষত-বিক্ষত, অরক্ষিত। সেখানকার পাহাড়ে, অরণ্যে, চরাচরে আজ মুসলিম বাংলাভাষী জনতার হাহাকার,
আহাজারি আর আর্তনাদে বাতাস ভারী হয়ে আছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে প্রায়শই খুন-অপহরণ হচ্ছে মুসলিম বাংলাভাষীরা। বড় বড় নৃশংস হত্যাকান্ড-লংগদু হত্যাকান্ড, কাউখালী
হত্যাকান্ড, বরকলের ভূষণ ছড়া হত্যাকান্ড, পানছড়ি হত্যাকান্ড, বাঘাইছড়ি থানার নব খাগড়াছড়িতে ৭ জন সৈনিক হত্যাকান্ড,
রামগড় থানার ঝগড়াবিল বাজার হত্যাকান্ড,
খাগড়াছড়ির লোগাং হত্যাকান্ড, নানিয়ারচর হত্যাকান্ড, খাগড়াছড়ির মহাজন পাড়ার হত্যাকান্ড, বাঘাইছড়ি থানার হত্যাকান্ড, বাঘাইছড়ি থানার গুলশাখালী, গাঘছড়া, মাইনী, বড়
মহিল্লা ও কালাপাকজ্জার ৩৪ বাঙালী কাঠুরের হত্যাকান্ড, খাগড়াছড়ির কুমিল্লা টিলার হত্যাকান্ড, নাইক্ষ্যাংছড়ি পাড়া ও বলিপাড়ার হত্যাকান্ড ইত্যাদি
উল্লেখযোগ্য।
পার্বত্য চট্টগ্রামের বসবাসরত উপজাতিদের ধর্মকর্ম, সংস্কৃতি ও জীবন যাত্রার ধরনও পরস্পর থেকে ভিন্ন। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে চাকমারা
একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করে আছে। চাকমারা মূলত বৌদ্ধ সম্প্রদায়ভুক্ত হলেও এখন তাদের একটা বড় অংশ খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেছে।পার্বত্য অঞ্চল গুলো এতটাই দুর্গম যে সেখানে পৌঁছানো সব সময় সম্ভব হয় না, আর পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা গভীর জংগলে অবস্থান করায় ও পাহাড়ি শান্তিচুক্তির কিছু অনুচ্ছেদ সেনাবাহিনীর হাতপা বেধে দেয়াতে এই সন্ত্রাসী সংগঠন গুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করাও সম্ভব হয়ে ওঠেনা। যারফলে দিন দিন পাহাড়ি সন্ত্রাসী সংগঠন গুলো আরো বেশি সশস্ত্র হয়ে উঠছে যা পাহাড়ে বসবাসকারী সাধারণ জনগণ দের জন্য যতটা ভয়াবহ তার চাইতে অধিক ভয়ানক দেশের অখণ্ডতার জন্য। আর এই সমস্যা
সমাধানে বিশেষজ্ঞ রা পরামর্শ দিয়েছে পাহাড়ে যোগাযোগব্যবস্থার অধিক উন্নয়ন ও সহজতম করার জন্য, রাস্তাঘাটের উন্নয়নের ফলে যাতায়াত সহজ হবে দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মুভমেন্ট করা সহজ হবে ও বিচ্ছিন্ন জনপদ গুলোর সাথে সহজেই যুক্ত হওয়া যাবে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে খ্রিস্টান ধর্মীয় মিশনগুলো খুব তৎপর এবং উপজাতিদের একটা
উল্লেখযোগ্য অংশ খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত হয়েছে।
উপজাতীয়দের বেশ ব্যাপকহারে ধর্মান্তরিত হওয়ার বিষয়টি মনে হয় পার্বত্য সমস্যার নতুন
উপাদান যোগ করেছে। জনসংখ্যার দিক থেকে চাকমাদের পরই অর্থ্যাৎ দ্বিতীয় স্থানে বাঙালিদের অবস্থান। বাঙালিদের আবার সবাই মুসলমান। এ মুহূর্তে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার তিনটি কারণ প্রধান বলে মনে হয়। 
প্রথমত. সেনাবাহিনী প্রত্যাহার,

দ্বিতীয়ত. বাঙালী বসবাসকারীদের প্রত্যাহার,
তৃতীয়ত. পুঞ্জীভূত ভূমি সমস্যা- ভূমি জরিপ ও বন্টন। তবে তাৎক্ষনিক কারন হিসেবে মনে হয় সেনাবাহিনী ও বাঙালি বসবাসকারীদের প্রত্যাহারের দাবির বিষয়টিই প্রধান।
ভারত পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিবাহিনী নামক সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে, এ কথা সর্বজনীন । আজ আর কারো সন্দেহ নেই যে বাংলাদেশের সর্বাধিক সুবিধাপ্রাপ্ত দেশদ্রোহী উপজাতীয়দের নেপথ্য মদদদাতা শক্তি ভারত। এমনও
জানা যায় যে, মুজিব হত্যাকান্ডের পর লারমা সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের আশ্রয়ে চলে যান এবং ত্রিপুরা রাজ্যের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মাধ্যমে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কার্যক্রম পরিচালিত করতে থাকেন। বেশ কিছু
গ্রুপকে ট্রেনিং দেয়া ছাড়াও ১৯৭৫ সালের নভেম্বরে ভারত শান্তি বাহিনীকে অস্ত্র ও গোলা বারুদের দু’টি বড় ধরনের চালান দেয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রাকৃতিক সম্পদের এক অনাহরিত
রত্নভান্ডার। ভারত চাচ্ছে ফেনী নদীর কোল ধরে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত আধিপত্য বিস্তার করতে। তাই নানা ছল-ছুতায় তারা সহজ-সরল পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ীদেরকে গিনিপিগ হিসেবে বাছাই
করে। স্বাধীনতার মন্ত্র শোনায়, আশ্বস্ত করে ‘৯ মাসে
বাঙালীদের স্বাধীন করে দিয়েছি। ছ’মাসে তোমাদেরকে (চাকমা) পার্বত্য চট্টগ্রাম স্বাধীন করে দেবো’। ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর মোহনবাঁশী
শান্তিবাহিনীকে বাস্তবতা ভুলিয়ে দিলো। চাকমা সন্ত্রাসীরা দলে দলে আশ্রয় নিলো ভারতের শরনার্থী শিবিরে। হাতে পেলো অস্ত্র। ১৯৯৬-এ শান্তিবাহিনীর সাথে ভারতীয় সংযোগের
চিত্র প্রকাশিত হয়। কলকাতার ‘আলোকপাত’ পত্রিকার নভেম্বর ১৯৯৬ সংখ্যায় উত্তম উপাধ্যায় নামে একজন রিপোর্টার খুবই পরিস্কার ভাবে জানিয়েছেন, ‘‘এখন ১০ হাজার চাকমার
মিলিশিয়া বাহিনী যে ভারতীয় সাহায্যেই পুষ্ট এটা ত্রিপুরার ছোট ছোট বাচ্চারাও জানে’’। এরূপ প্রকাশ্য ঘোষণার পর এমন কথা বলা নিশ্চয়ই ভুল হবে না যে, শান্তিবাহিনী ভারতেরই সৃষ্টি। বিশিষ্ট ভারতীয় গবেষক-বিশ্লেষক অশোক এ বিশ্বাস
তার “RAW’s Role in Furthering India’s Foreign Policy” শীর্ষক পুস্তিকায় শান্তিবাহিনীর সঙ্গে ভারতীয় সংযোগের কথা খোলাখুলি বলেছেন। তিনি লিখেছেনঃ
“RAW is now involved in training rebels of chakma tribes and Shanti
Bahini who carry out subversive
activities in Bangladesh”. এর অর্থ হচ্ছেঃ ‘র’ বর্তমানে চাকমা উপজাতি ও শান্তিবাহিনীকে প্রশিক্ষণদানে সরাসরি জড়িত যারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নানারকম নাশকতামূলক তৎপরতা চালায়।
এখানে জাংগল ওয়ারফেয়ার স্কুলে সামরিক প্রশিক্ষণরত বিচ্ছিন্নতাবাদী শান্তিবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জেনারেল শংকর রায়
আশা ব্যক্ত করেন যে, শীঘ্রই শান্তিবাহিনী সম্মানের সাথে স্বদেশভূমি জুম্মল্যান্ড-এ ফিরে যেতে পারবে। লক্ষ্যণীয় যে, শান্তিবাহিনীর সঙ্গে ভারতীয় অবৈধ সংযোগ কত গভীরে রয়েছে জেনারেল শংকরের
বক্তব্য থেকে তা বেরিয়ে আসছে। ভারত বেহুদা গত ৩৫ বছর ধরে জনসংহতি সমিতিকে লালন-পালন করেনি। ইচ্ছা চট্টগ্রাম বন্দরকে
নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবহার করে মিজোরাম, ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয়, মনিপুর, নাগাল্যান্ড, অরুনাচলের সমৃদ্ধি সাধন করা। ভারতের
পরিকল্পনা পার্বত্য চট্টগ্রামে তাবেদার প্রশাসনের ব্যবস্থা করে নিজেদের এলাকার স্বাধীনতাকামীদের শায়েস্তা করা। চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ন্ত্রণ করার জন্য দরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম
নিয়ন্ত্রণ করা। তার জন্য শান্তি বাহিনীকে তারা জামাই আদরে প্রতিপালন করেছে।যেমনটা ভারত শ্রীলংকার তামিল টাইগারদের করেছিল।কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য সফল হয় নি।
পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা নিরসনে আমাদের অনেক কিছু করনীয় রয়েছে।তার মধ্যে কিছু পয়েন্ট আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম।
সেনা প্রত্যাহার বন্ধ করতে হবে।এবং প্রয়োজনে সেখানে প্রতি বছর চিরনি অভিযান পরিচালনা করা।এতে সেখানে শান্তিবাহিনী চাপে থাকবে এবং দুর্বল হয়ে পড়বে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা নিঃসন্দেহে
একটি রাজনৈতিক সমস্যা এবং এর সামাধানও করতে হবে রাজনৈতিকভাবে। শান্তিচুক্তিকে রাজনৈতিক সমাধানের পদক্ষেপ হিসেবে ধরে নিলেও তা যে কোনো সমাধান দিতে পারেনি,
এটাই দেখা যাচ্ছে, এর একটা বড় কারণ হলো পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি হয়েছে নির্বাহী ক্ষমতাবলে, জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত থাকলেও তা সংসদে আলোচিত ও অনুমোদিত
হয়নি।
পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনতে
হলে উগ্র উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের হত্যা, গ্রেফতার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। অবৈধ অস্ত্র ও উগ্র উপজাতীয়দের সন্ত্রাস পার্বত্য চট্টগ্রামকে গভীর সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ বাঙালি ও উপজাতিরা বর্তমান অশান্ত পরিস্থিতির
জন্য দায়ী নয়। প্রত্যাহারকৃত সেনাক্যাম্প গুলো পুনঃস্থাপন করতে হবে। প্রয়োজনে সেনাক্যাম্প বাড়াতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার রাজনৈতিক
সমাধানের জন্য যতদিন প্রয়োজন ততদিন সেখানে
সেনাবাহিনী বহাল রাখা ছাড়া উপায় নেই। সেনাবাহিনী না থাকলে পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অংশ থাকত না। সেনাবাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার কাজে নিয়োজিত। সুতরাং পার্বত্য চট্টগ্রামে তারা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সেনাবাহিনী এই রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে যে ভাবে নিয়োজিত রয়েছে, একইভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামেও নিয়োজিত রয়েছে এবং থাকবে। রাষ্ট্রের নিরাপত্তার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃংখলা রক্ষার দায়িত্বও তাদের। সেখানে সেনাবাহিনী না রাখার বাস্তব অর্থ দাঁড়াবে
পার্বত্য চট্টগ্রামে ভারতের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হতে দেয়া।
পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদেশীদের গোপন
তৎপরতা বন্ধ করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক
আন্তর্জাতিক কমিশন নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে
সীমান্ত পাহারা জোরদার করতে হবে। সুদূর মায়ানমার থেকে রামগড় পর্যন্ত পাহাড়ি সীমান্ত শুধু বিডিআর দ্বারা তদারকি করা সম্ভব নয়, সমীচীনও নয়। চোরাচালান দুষ্কৃতিকারীদের অনুপ্রবেশ রোধে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি ও সক্রিয় সহযোগিতা অপরিহার্য।
বিজিবিকে ভারী অস্ত্র, এপিসি, আইএফভি, ইম্প্রোভাইজড ভেহিকল দ্বারা সজ্জিত করতে হবে।
দূর্গম এরিয়ায় টহল,চিরুনি অভিযান এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে হবে।

লেখকঃ আধুনিক সমরাস্ত্র অবলম্বনে সোহেল আদনান।
Powered by Blogger.