তুরস্ক ২৬টি এন্টি ট্যাংক ডেস্ট্রয়ার আর্মার্ড ভেহিকেল হাতে পেয়েছে

তুরস্ক সম্প্রতি ২৬টি কাপলান এন্টি ট্যাংক ডেস্ট্রয়ার শ্রেণীর ট্র্যাকড আর্মার্ড ভেহিকেল হাতে পেয়েছে। ২০১৬ সালে তাদের দেশের FNSS ডিফেন্স কোম্পানিকে তারা ৭৬টি Pars 4×4 ভেহিকেল ও ১৮৪টি কাপলান আর্মাড এটিভি (Anti-Tank Vehicles) সরবরাহ করার অর্ডার দেয়। গতকাল প্রথম ব্যাচ ডেলিভারি দেয়া হয়েছে। দুটো ভেহিকেলেই দুটি করে এন্টি ট্যাংক গাইডেড মিসাইল বহন করবে। ৬৪টি ভেহিকেলে রাশান করনেট-ই মিসাইল লাগানো হবে, বাকিগুলোতে তুরস্কের নিজস্ব নির্মিত UMTAS এন্টি ট্যাংক ভেহিকেল বসানো হবে। দুটো মিসাইলের রেঞ্জ ই ৮ কিঃমিঃ। এটি দিনে-রাতে যেকোনো সময় ফায়ার করতে পারবে এবং ফায়ারের পর ম্যানুয়ালি মিসাইল রিলোড করা যাবে।  এছাড়া একটি রিমোট কন্ট্রোল ৭.৬২ এমএম মেশিনগান রয়েছে।


কাপলান মূলত ইন্দোনেশিয়ার সাথে তুরস্কের জয়েন্ট ট্যাংক প্রোগ্রাম। এই সিরিজের মিডিয়াম ট্যাংক বাংলাদেশের কেনার গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। তুরস্ক এই কাপলান প্লাটফর্মের উপর বেশ কিছু আর্মাড ভেহিকেল বানিয়েছে।
রিমোট কন্ট্রোল হেভি মেশিনগান সমৃদ্ধ কাপলান ২০ ও ৩০ মডেলে ৬ থেকে ৮ জন ট্রুপস বহন করা যায়। কিন্তু মত কাপলান ১০ এন্টি ট্যাংক ভার্শনে কমান্ডার, ড্রাইভার, গানার (মিসাইল অপারেটর), গানার হেল্পার থাকায় এতে
এতে ৫ জন বহন করা যাবে। চাইলে একে সীমিত আকারে আর্মাড এম্বুলেন্সে রূপান্তর করা সম্ভব। ম্যাক্সিমাম ৬৫ কিঃমিঃ গতি নিয়ে এটি ৫২৫+ কিঃমিঃ দুরে অপারেশন চালাতে সক্ষম। Pars 4×4 ভেহিকেলে দুটো মিসাইল ছাড়াও ১৪ জন বহন করা যাবে। তুরস্ক মূলত এমন এক নিউ জেনারেশন আর্মাড বহর গঠন করতে চাচ্ছে যা ট্যাংক বহরের সাথে তাল মিলিয়ে এন্টি ট্যাংক অপারেশন চালানর পাশাপাশি সৈনিক বহনে সক্ষম।

নিয়মিত রোমাঞ্চকর সামরিক বিষয়ক পোষ্ট পেতে লাইক দিন আমাদের ফেইসবুক ফ‌্যান পেইজে- Click here



Powered by Blogger.