৬ষ্ট প্রজন্মের ফাইটার কি রকম হতে পারে ?? দেখুন বিস্তারিত....
৬ষ্ট প্রজন্মের ফাইটার |
এয়ারক্রাফটের জেনারেশন যত বেশি হবে ফাইটারও তত উন্নত হবে।বর্তমানে ৫ম প্রজন্ম পর্যন্ত বিমান রয়েছে। আজকে আমি ৬ষ্ট প্রজন্মের ফাইটার নিয়ে আলোচনা করব।মানে ৬ষ্ট প্রজন্মের ফাইটার কি রকম হতে পারে,তা নিয়ে আমি আলোচনা করব। ৬ষ্ট প্রজন্মের ফাইটার তৈরীর কাজ শুরু হয় ২০১২ সালে।২০১৩ সালে আমেরিকার ডের্পা এটি নিয়ে গবেষণা শুরু করে।এবং পেন্টাগন ২০১৫ সালে এটির জন্য বাজেট পেশ করে।রাশিয়াও এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই ।প্রজন্ম অনুযায়ী এয়ারক্রাফটের বিভিন্ন পরিবর্তন লক্ষ করা যায়।এয়ারক্রাফটের নকশা,বডি,কম্পিউটার সিস্টেম ইত্যাদি।যেমন ৪র্থ প্রজন্মের ফাইটার স্টিলেথ না,৪.৫ প্রজন্মের ফাইটার সেমি স্টিলেথ এবং ৫ম প্রজন্মের ফাইটার পুরাপুরি স্টিলেথ। আলোচনা শুরুর আগে আমরা আগের প্রজন্মের ফাইটার নিয়ে কিছু আলোচনা করি।বর্তমান ৫ম প্রজন্মের সব এয়ারক্রাফট মাল্টিরোল ফাইটার।মাল্টিরোল মানে সব কাজে পারদর্শী। সুতরাং ৬ষ্ট প্রজন্মের এয়ারক্রাফট মাল্টিরোল হবে।বর্তমানে আমেরিকা এবং রাশিয়া ৬ষ্ট প্রজন্মের এয়ারক্রাফট তৈরীর কাজ শুরু করে দিয়েছে। আমেরিকা আরোরা, F/A-XX সহ বেশ কিছু প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে।চীনও ডাবলিওইউ-১৪’ নামে একটি প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে।তবে ঐ ৬ষ্ট প্রজন্মের এয়ারক্রাফট তৈরীর প্রজেক্ট কিনা সন্দহ রয়েছে।কেননা তারা এখুনো তারা কোন ৫ম প্রজন্ম এয়ারক্রাফটের কাজ পুরাপুরি শেষ করতে পারে নাই ।স্টিলেথ মুভিটা কে কে দেখেছেন??.সেখান থেকে আমরা ৬ষ্ট প্রজন্মের এয়ারক্রাফটের আইডিয়া পেতে পারি।৬ষ্ট প্রজন্মের এয়ারক্রাফটের যতগুলো নকশা প্রকাশিত হয়েছে, ঐ মুভিটায় F/37B "টেলন(Talon)" নামক কাগুজে ফাইটার টার সাথে মিল রয়েছে।মানে নকশার সাথে মিল রয়েছে। ষষ্ঠ প্রজন্মের ফাইটার
বিমানের নির্মাণ বিভিন্নমুখী হতে পারে.। এটা যেমন শূন্য থেকে শুরু করা যেতে পারে তেমনই ‘তে-৫০’-দশকের এর কিছু প্রযুক্তিও ওখানে কাজে
লাগানো যেতে পারে. অন্তত এরকম সম্ভাবনা আছে, যে পঞ্চম প্রজন্মের কিছু পার্টস ষষ্ঠ প্রজন্মের ফাইটার বিমানগুলির জন্যেও কাজে
লাগবে. পৃথিবীতে ক্রমশঃই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে চালকবিহীন বিমান এবং সংঘাতকবলিত এলাকায়
তারা তাদের উপযোগিতা প্রমাণ করে দিয়েছে. কিন্তু এগুলো সাধারণতঃ যুদ্ধক্ষেত্রের উপর নজর রাখার জন্য ও টহলদারী কাজের জন্য. তবে এমন
বিমানেরও আবির্ভাব হচ্ছে, যারা পাইলট ছাড়াই নিজেরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে আক্রমণ হানতে সক্ষম. তবে ‘ফ্লাইট’ জার্নালের মুখ্য সম্পাদক আন্দ্রেই ফমিনের মতে – চালকবিহীন
ফাইটার বিমানের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আরও বেশি সময় লাগবে. –
ভূপৃষ্ঠে কোনো লক্ষ্যবস্তুর ওপর আঘাত হানা এক ব্যাপার, আর আকাশে দ্রুত পরিবর্তনশীল চিত্রপটে পাইলট ছাড়াই মুহুর্তের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে আক্রমণ করা অন্য ব্যাপার. যদিও আজকের
দিনেই পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটার বিমানগুলির ককপিটে উপস্থিত কৃত্রিম মগজের উত্কর্ষতা যথেষ্ট উন্নতমানের. ঐ ব্যবস্থা শুধু পাইলটকে
প্রয়োজনীয় পরামর্শই দেয় না, দরকার হলে নিজেই দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে আক্রমণ শানাতে সক্ষম. তবে পাইলট এখনো ককপিটে থাকে এবং
আরও বহুবছর তারা চালকের আসনে থাকবে।আমি UCAV কথা বলছিলাম।৬ষ্ট প্রজন্মের এয়ারক্রাফটে UCAV সিস্টেম থাকতে পারে ।আমেরিকা ৬ জেনারেশনের ফাইটার হবে F-22 এর উন্নত ভার্সন। মানে তারা F-22 কে রিপ্লেস করবে।৬ষ্ট প্রজন্ম ফাইটারে আরেকটা উল্লেক যোগ্য দিক হল লেজার ওয়েপন সিস্টেম। মানে এতে লেজার নিয়ন্ত্রিত অস্ত্র থাকবে।গতির ক্ষেত্র আসবে পরিবর্তন। বর্তমান ৫ম প্রজন্মের সব এয়ারক্রাফটের গতি সর্বোচ্চ ম্যাক ২.৫। সে ক্ষেত্রে ৬ষ্ট প্রজন্ম ফাইটারের গতি হবে ম্যাক ২.৮ থেকে ম্যাক ৩।বহু মুখি ব্যাবহারের কথা মাথায় রেখে ৬ষ্ট ফাইটার ফাইটার তৈরী করা হবে।পরবর্তী প্রজন্মের ইলেক্টনিক ওয়ারপেয়ার,পাইলট ছাড়া চালানো মানে স্ব নিয়ন্তিত মিশন পরিচালনা করা,সাইবার আট্যাক,বোম্বিং,মাল্টিরোল।আরেকটি মজার বিষয় হচ্ছে এতে স্ব-নিয়ন্তিত বাস্তব বুদ্বি সম্পন্ন প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থা থাকবে।এয়ারক্রাফট যদি কোন হুমকির সম্মুখীন হয়,এটি নিজেই ব্যাবস্থা নিবে।এর PNT সিস্টেমও আরও উন্নত হবে।ইন্জিনে ক্ষেত্রেও আসবে পরিবর্তন। ৬ষ্ট প্রজন্মের ফাইটারে ব্যাবহার করা হবে আডেপ্টিভ ভার্সেটাইল ইন্জিন টেকনোলজি। যা ফাইটারের রেন্জ,লাইফ অনেক গুন বৃদ্ধি করবে।ফলে এটি লং রেন্জ বোম্বারের দায়িত্ব পালন করতে পারবে।তাছাড়া সুপার ক্রুজের মত আরও নতুন প্রযুক্তি এতে যুক্ত হবে।আশা করা যায় ২০২৫-২০৩০ সালের মধ্যে ৬ষ্ট প্রজন্মের এয়ারক্রাফট সার্ভিসে আসবে।রাডারের ক্ষেত্রে আসবে পরিবর্তন। বর্তমান রাডার গুলোর সর্বোচ্চ রেন্জ ৪০০ কি মি।তাবে পরবর্তী প্রজন্মের ফাইটারে এর রেন্জ আরো বাড়ানো হবে। তাবে কি ধরনের রাডার ব্যাবহার করা হবে তা প্রকাশিত হয় নি।