"যদি তুরস্ক এবং রাশিয়ার ভেতর যুদ্ধ শুরু হয়ে যায় সিরিয়া নিয়ে তবে এর দায়ভার ন্যাটো কখনওই নিবেনা এবং তারা এ বিষয়ে কোন হস্তোক্ষেপ করবেনা"
তুরস্ক এবং রাশিয়ার ভেতর যুদ্ধ |
রাশিয়া তুরস্কের বেড়ে চলা উত্তেজনার ভেতর NATO তুরস্ক কে সতর্ক করে সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে, "যদি তুরস্ক এবং রাশিয়ার ভেতর যুদ্ধ শুরু হয়ে যায় সিরিয়া নিয়ে তবে এর দায়ভার ন্যাটো কখনওই নিবেনা এবং তারা এ বিষয়ে কোন হস্তোক্ষেপ করবেনা"।
.
আংকারা বরাবর ই বলে আসছিলো যে ন্যাটো ৫ম অণুচ্ছেদ অনুযায়ী তুরস্কের উপর হামলা হলে ন্যাটো কে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে হবে, কিন্তু সম্প্রতি ন্যাটো ভুক্ত ইউরোপীয় রাষ্ট্র গুলো নেতারা ন্যাটো মহাসচিব কে সাফ জানিয়েছে যে তারা তুরস্কের তৈরিকৃত কোন প্রকার যুদ্ধে জড়াতে আগ্রহী না ......... ইউরোপীয় নেতারা কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে উল্লেখ করে যে পঞ্চম অণুচ্ছেদ অনুযায়ী ন্যাটো ভুক্ত কোন রাষ্ট্র কে বিনা উস্কানি তে কোন রাষ্ট্র আক্রমণ করে তবেই কেবল ন্যাটো হস্তক্ষেপ করার এখতিয়ার রাখে। এদিকে জার্মান এক ডিপ্লোম্যাট উল্লেখ করে যে "আমরা এমন কোন যুদ্ধের জন্য মূল্য দিতে প্রস্তুত নই যা তুরস্ক নিজে শুরু করবে"। এছাড়াও ন্যাটো ভুক্ত বাকি ইউরোপীয় রাষ্ট্র গুলোর ও মত একই। অর্থাৎ মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে রাশিয়া-তুরস্ক বেড়ে চলা উত্তেজনায় তুরস্ক এখন একা, তবে ইতিমধ্যে সৌদিআরব, আরব আমিরাত, কাতার তুরস্কের সিরিয়া আগ্রাসন এর সমর্থন জানিয়ে তাড়াও সিরিয়ায় স্থল অভিযান চালানোর জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠেছে। অপরদিকে রাশিয়া ও ইরান সিরিয়ার উপড় আশা সমস্ত সামরিক অভিযান কে রুখে দেবার সংকল্প ব্যক্ত করেছে।
.
যেখানে সৌদি নেত্রিত্তাধিন জোট ইয়েমেন হুতি বিদ্রোহী দমনেই হিমসিম খাচ্ছে, এবং সামরিক অভিযান চালাতে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে সেখানে একই সময় সিরিয়ায় সামরিক/স্থল অভিযান চালানো কতটা যুক্তিসংগত তা মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলোর ভেবে দেখার হয়তো সময় এসেছে।