HQ-9 চীনের তৈরী অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থা বা স্যাম।
HQ-9 চীনের তৈরী অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থা বা স্যাম। |
♦♦♦HQ-9(FD-2000 এক্সপার্ট ভার্সন) হচ্ছে চীনের CPMIEC এর নির্মিত একটি মিডিয়াম-টু-লংরেঞ্জ
এক্টিভ-রাডার-হোমিং SAM Systems. যা মূলত রাশিয়ান S-300PMU এর চীনা লাইসেন্স ভার্সন। তবে আমেরিকা
ও রাশিয়া যেখানে তাদের MIM-104 Patriot & S-300/400 SAM Systems গুলোতে PESA রাডার ব্যবহার করে
সেখানে চীন তাদের state-of-the-art AESA রাডার সিস্টেমস ব্যবহার করে।
HQ-9 এর প্রতিটি ব্যাটারি তে থাকে ১টি টাইপ ৩০৫বি সার্চ রাডার,১টি ট্রেকিং রাডার, ১টি ২০০kwডিজেল।জেনারেটর ট্রাক এবং ৮টি ট্রান্সপোর্টার ইলেক্ট্রো
লাঞ্চারস(TELs),যার প্রতিটি ট্রাক ৪ টি করে লাঞ্চার টিউব বহন করে অর্থাৎ ৩২টি SAM Missile সবসময় রেডি থাকে। আর এই সমস্ত কিছু বহন করে হেভি ট্রাক। এই সাধারণ প্যাটার্ন কে আর এক্সপেন্ড করে একে আরো
শক্তিশালী করা যায়, যা মূলত মেইন এয়ার ডিফেন্স প্লাটফর্ম হয় আর তখন এতে থাকে ১টি TWS-312 কমান্ড
পোষ্ট, ১টি সাইট সার্ভে ভেহিকেল(HUMVEE), ১টি
মেইন পাওয়ার গ্রিড কনভার্টোর, ৮+টি TAS5380 TELs (মিসাইল লাঞ্চার বহনকারী ভেহিকেল), ১টি Type-120
লো-আল্টিটিউড-সার্চ-রাডার, ১টি Type-305A AESA সার্চ রাডার যা সম্পূর্ণ এন্টি-ব্যালিস্টিক-মিসাইল ক্ষমতা সম্পন্ন এবং ১ টি প্যাসিভ রাডার যা স্টিলথ টার্গেট কে ডিটেক্ট করার জন্য। এই পুরো মোবাইল বেসড SAM সিস্টেমকে খুব দ্রুতো মোতায়েন করা যায় কয়েক মিনিটের ভেতর
এবং এর জন্য এর ক্রুদের বিশেষ প্রশিক্ষণ ও দেয়া হয়।
.
এই HQ-9 তেও রয়েছে রাশিয়ান S-300V এত।মতো Two-Stage-Missile. এই মিসাইল গুলোর দৈর্ঘ্য
৬.৮ মিটার এবং ওজন ২ টন হয়, এতে ১৮০ কেজির ওয়ারহেড থাকে। এই SAM Missiles গুলোর স্পিড হয়
Mac 4.2 এবং রেঞ্জ সর্বচ্চ 200km এবং 27 km উচ্চতার টার্গেট কে হিট করতে সক্ষম। এই মিসাইল
গুলোর ইন্টারনাল + মিড কোর্স থার্মাল রাডার গাইডেন্স।সিস্টেম রয়েছে। এই মিসাইল সিস্টেমস ব্যালিস্টিক*
মিসাইল ধ্বংস করতেও সক্ষম।
.
এই মিসাইল সিস্টেমস এর সার্চ রাডার এর সর্বোচ্চ রেঞ্জ চীন ঠিক মত প্রকাশ করেনা তবে যতটুকু জানা যায় এর রেঞ্জ ২০০ কি:মি:। তুরস্ক এটি ক্রয় করাতে
চেয়েছিলো কিন্তু ন্যাটোর বাধার মুখে ডিল টা থেমে আছে। ২০১৪ সালের যুহাই এয়ার-শোতে এক পরীক্ষায়
দেখা গিয়েছিল যে এর রাডার কন্টাক্ট থেকে মিসাইল এনগেজ করতে ১২-১৫ সেকেন্ড সময় লেগেছিলো।