বাংলাদেশ বিমান বাহিনির সক্ষমতা।
বাংলাদেশ বিমানবাহিনী তে এফ-৭ সিরিজের যুদ্ধবিমান গুলো নিয়ে আমরা অনেকেই
নাক কুঁচকাই বলা চলে। অনেকে তাচ্ছিল্য করে আদিম যুগের মুড়ির টিন ও বলে। তবে
বাস্তবতা কিন্তু ভিন্ন,, মিগ-২১ এর চীনা লাইসেন্সড ভার্সন এই এফ-৭ কিন্তু
এখনো অনেক দেশের বিমানবাহিনীতে সার্ভিস দিয়ে চলেছে। আজ একটু আলোচনা করবো কি
রয়েছে আমাদের এফ-৭ গুলোয় এবং এর দ্বারা কি কি করা সম্ভব।
বর্তমানে আমাদের বিমানবাহিনী তে ৩৪ টি Chengdu F-7 BGI, BG, MB যুদ্ধবিমান সার্ভিস দিচ্ছে যার ভেতর ১৬ টি F-7BGI, F-7/Mig-21 তৃতীয় প্রজন্মের যুদ্ধবিমান হলেও F-7BGI কিন্তু 3.5++ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান,, কারন এর কাঠামো একই থাকলেও ভেতরের প্রায় সব কিছুই আপগ্রেডেড। মিগ-২১/এফ-৭ উভয় সিরিজের ই সবথেকে উন্নত বিমান এটি। F-7BGI এর রয়েছে এক্স-ব্যান্ড KLJ-6F ফায়ার কন্ট্রোল রাডার, যার রেঞ্জ ৮৬+ কিঃমিঃ যা বিভিআর রেঞ্জের কাছাকাছি। এই রাডার টি একই সাথে ৬ টি টার্গেট ট্রেক ও একইসময় ২ টিতে মিসাইল ফায়ার করতে সক্ষম। এছাড়াও অত্যাধুনিক হেল্মেট মাউন্টেড সাইট ও হেডস-আপ ডিসপ্লে যার ফলে অনেক তথ্য হেলমেটেই পেয়ে যায় ফলে এট্যাকে যেতে অনেক এডভান্টেজ পাওয়া যায় [ কিন্তু এই হেল্মেট BAF এর নেই দাম বেশি হবার কারনে]। F-7BGI এর রয়েছে সম্পূর্ণ গ্লাস-ককপিট, ককপিটে রয়েছে ৩ টি মাল্টিফানশনাল ডিসপ্লে ও HOTAS কন্ট্রল স্টিক, যার ফলে একদিকে অধিক তথ্য বিশ্লেষণ ও সহ কন্ট্রোল স্টিকের মাধ্যমেই অনেক কাজ সম্পন্ন করা যায়। এছাড়া BGI তে ব্যবহার করা হয়েছে ৮২ নট থ্রাস্ট উৎপাদনে সক্ষম WP-14 ইঞ্জিন যা একে ম্যাক-২.২ গতি এনে দিয়েছে। F-7BGI এর কাঠামো আগের ভার্সন এর মত হলেও এর কিন্তু উইংস ও টেইল সেকশন এ কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে ডিজাইনে, এর ফলে BGI এর এঙ্গেল অফ টার্ন, ম্যানুভারিটি বাড়িয়ে তুলেছে। BGI এর হার্ডপয়েন্ট কিন্তু আবার ৭ টি, এই হার্ডপয়েন্ট গুলোয় মোট ৩০০ কেজি সমপরিমাণ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল, লেজার গাইডেড বম্ব, জিপিএস বম্ব সহ ফুয়েল ট্যাংক ক্যারি করা যায়। শুধু তাই নয় F-7BGI C-704 AShM ও বহন করতে সক্ষম। সুতরাং বুঝিতেই পারছেন F-7BGI কোন ফেলনা জিনিশ নয়। আর এফ-৭এমবি গুলো অনেক বেশি পুরনো হবার ফলে এগুলো কে শুধুমাত্র ট্রেইনিং এই ব্যবহার করা হয় এখন।
এবার আসি F-7BG প্রসঙ্গে, এটি মূলত F7MG এর বাংলাদেশী ভার্সন,, এই ভার্সন টি অস্ত্র বহনের পাশাপাশি উইংস এ Reconnaissance Pod ও ক্যারি করতে পারে। এছাড়া এই ভার্সন টিকে আপগ্রেড করে এতে ইতালির তৈরি Grifo-Mk-II রাডার সংযোজিত করা হয়েছে।
★★★ এবার আসি মূল কথায়,, এই এয়ারক্রাফট গুলোকে নিয়ে কি করা যেতে পারে....
সাধারণত এফ-৭ গুলোকে ইন্টারসেপ্টর ও গ্রাউন্ড এট্যাক রোলেই ব্যবহার করা হয়, যদিয়োবা আকাশ যুদ্ধে বা এয়ার টু এয়ার ফাইটে F-BGI ভালো করার সম্ভাবনা অনেক রয়েছে। যেহেতু আমরা জাতীগত এবং সাংবিধানিক ভাবে ডিফেন্সিভ তাই কেউ যদি আমাদের উপর আক্রমণ করে তবে এই সামান্য এয়ার পাওয়ার নিয়ে আমরা যা করতে পারি তা হলো...
আমরা ৮ টি মিগ কে ৪ টি গ্রুপে ভাগ করে প্রতি ২ টি মিগের সাথে ৪ টি করে F-7BGI ও ৩ টি করে BG যুক্ত করতে পারি, এছাড়া ১৬ টি ইয়াক-১৩০ যেহেতু সল্প পরিসরে যুদ্ধ করতে সক্ষম তাই সেগুলো ও এর সাথে যুক্ত করলে শত্রু বাহিনীর উপর গ্রাউন্ড এট্যাক করা ও স্কোয়াড্রন এর এয়ারক্রাফট গুলোকে কাভার দেয়া সম্ভব হবে শত্রু ফাইটার হতে। এছাড়া AN-32 বম্বার গুলোকে BGI দিয়ে এসকট করা যাবে যা বম্বিং করে নিরাপদে ব্যেসে ফেরত আসতে সহায়তা করবে কিছুটা।
আপাতত এর চাইতে বেশি কিছু করা আমাদের সম্ভব না আমাদের বিমান বাহিনী নিয়ে। তবে আশার কথা এই যে ২০২১ সালের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে বিমান বাহিনীর জন্য এবং আমাদের জন্য অনেকটা বড় সুখবর পাবার প্রত্যাশা রয়েছে যার ইংগিত এরি মধ্য আমরা পেয়েছি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে ও বিভিন্ন মাধ্যম থেকে। (আধুনিক সমরাস্ত্র)
বর্তমানে আমাদের বিমানবাহিনী তে ৩৪ টি Chengdu F-7 BGI, BG, MB যুদ্ধবিমান সার্ভিস দিচ্ছে যার ভেতর ১৬ টি F-7BGI, F-7/Mig-21 তৃতীয় প্রজন্মের যুদ্ধবিমান হলেও F-7BGI কিন্তু 3.5++ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান,, কারন এর কাঠামো একই থাকলেও ভেতরের প্রায় সব কিছুই আপগ্রেডেড। মিগ-২১/এফ-৭ উভয় সিরিজের ই সবথেকে উন্নত বিমান এটি। F-7BGI এর রয়েছে এক্স-ব্যান্ড KLJ-6F ফায়ার কন্ট্রোল রাডার, যার রেঞ্জ ৮৬+ কিঃমিঃ যা বিভিআর রেঞ্জের কাছাকাছি। এই রাডার টি একই সাথে ৬ টি টার্গেট ট্রেক ও একইসময় ২ টিতে মিসাইল ফায়ার করতে সক্ষম। এছাড়াও অত্যাধুনিক হেল্মেট মাউন্টেড সাইট ও হেডস-আপ ডিসপ্লে যার ফলে অনেক তথ্য হেলমেটেই পেয়ে যায় ফলে এট্যাকে যেতে অনেক এডভান্টেজ পাওয়া যায় [ কিন্তু এই হেল্মেট BAF এর নেই দাম বেশি হবার কারনে]। F-7BGI এর রয়েছে সম্পূর্ণ গ্লাস-ককপিট, ককপিটে রয়েছে ৩ টি মাল্টিফানশনাল ডিসপ্লে ও HOTAS কন্ট্রল স্টিক, যার ফলে একদিকে অধিক তথ্য বিশ্লেষণ ও সহ কন্ট্রোল স্টিকের মাধ্যমেই অনেক কাজ সম্পন্ন করা যায়। এছাড়া BGI তে ব্যবহার করা হয়েছে ৮২ নট থ্রাস্ট উৎপাদনে সক্ষম WP-14 ইঞ্জিন যা একে ম্যাক-২.২ গতি এনে দিয়েছে। F-7BGI এর কাঠামো আগের ভার্সন এর মত হলেও এর কিন্তু উইংস ও টেইল সেকশন এ কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে ডিজাইনে, এর ফলে BGI এর এঙ্গেল অফ টার্ন, ম্যানুভারিটি বাড়িয়ে তুলেছে। BGI এর হার্ডপয়েন্ট কিন্তু আবার ৭ টি, এই হার্ডপয়েন্ট গুলোয় মোট ৩০০ কেজি সমপরিমাণ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল, লেজার গাইডেড বম্ব, জিপিএস বম্ব সহ ফুয়েল ট্যাংক ক্যারি করা যায়। শুধু তাই নয় F-7BGI C-704 AShM ও বহন করতে সক্ষম। সুতরাং বুঝিতেই পারছেন F-7BGI কোন ফেলনা জিনিশ নয়। আর এফ-৭এমবি গুলো অনেক বেশি পুরনো হবার ফলে এগুলো কে শুধুমাত্র ট্রেইনিং এই ব্যবহার করা হয় এখন।
এবার আসি F-7BG প্রসঙ্গে, এটি মূলত F7MG এর বাংলাদেশী ভার্সন,, এই ভার্সন টি অস্ত্র বহনের পাশাপাশি উইংস এ Reconnaissance Pod ও ক্যারি করতে পারে। এছাড়া এই ভার্সন টিকে আপগ্রেড করে এতে ইতালির তৈরি Grifo-Mk-II রাডার সংযোজিত করা হয়েছে।
★★★ এবার আসি মূল কথায়,, এই এয়ারক্রাফট গুলোকে নিয়ে কি করা যেতে পারে....
সাধারণত এফ-৭ গুলোকে ইন্টারসেপ্টর ও গ্রাউন্ড এট্যাক রোলেই ব্যবহার করা হয়, যদিয়োবা আকাশ যুদ্ধে বা এয়ার টু এয়ার ফাইটে F-BGI ভালো করার সম্ভাবনা অনেক রয়েছে। যেহেতু আমরা জাতীগত এবং সাংবিধানিক ভাবে ডিফেন্সিভ তাই কেউ যদি আমাদের উপর আক্রমণ করে তবে এই সামান্য এয়ার পাওয়ার নিয়ে আমরা যা করতে পারি তা হলো...
আমরা ৮ টি মিগ কে ৪ টি গ্রুপে ভাগ করে প্রতি ২ টি মিগের সাথে ৪ টি করে F-7BGI ও ৩ টি করে BG যুক্ত করতে পারি, এছাড়া ১৬ টি ইয়াক-১৩০ যেহেতু সল্প পরিসরে যুদ্ধ করতে সক্ষম তাই সেগুলো ও এর সাথে যুক্ত করলে শত্রু বাহিনীর উপর গ্রাউন্ড এট্যাক করা ও স্কোয়াড্রন এর এয়ারক্রাফট গুলোকে কাভার দেয়া সম্ভব হবে শত্রু ফাইটার হতে। এছাড়া AN-32 বম্বার গুলোকে BGI দিয়ে এসকট করা যাবে যা বম্বিং করে নিরাপদে ব্যেসে ফেরত আসতে সহায়তা করবে কিছুটা।
আপাতত এর চাইতে বেশি কিছু করা আমাদের সম্ভব না আমাদের বিমান বাহিনী নিয়ে। তবে আশার কথা এই যে ২০২১ সালের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে বিমান বাহিনীর জন্য এবং আমাদের জন্য অনেকটা বড় সুখবর পাবার প্রত্যাশা রয়েছে যার ইংগিত এরি মধ্য আমরা পেয়েছি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে ও বিভিন্ন মাধ্যম থেকে। (আধুনিক সমরাস্ত্র)