★★রাশিয়াকে কেন ঘৃণা করা উচিৎ★★ (ম্যারাথন পোষ্ট)
রাশিয়া পূর্ব ইউরোপ ও উত্তর এশিয়া জুড়ে বিস্তৃত বিশ্বের বৃহত্তম দেশ। দেশটির মোট আয়তন ১৭,০৭৫,৪০০ বর্গকিলোমিটার (৬,৫৯২,৮০০ বর্গমাইল)। রাশিয়া বিশ্বের নবম জনবহুল দেশ যেখানে ২০১৫ হিসাব অনুযায়ী ১৪৪ মিলিয়ন লোক বসবাস করে। ১৯২২ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত রাশিয়া ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্র। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন বর্তমান ১৫ টি স্বাধীন রাষ্ট্রের সমষ্টি ছিল। সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার পূর্বে রাশিয়ায় রাজতন্ত্র প্রচলিত ছিল। ১৯১৭ সালে রুশ বিপ্লবের মাধ্যমে বলশেভিকেরা রাজতন্ত্রের পতন ঘটিয়ে কমিউনিস্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করে।
১৯৯১ লেনিন প্রতিষ্ঠিত বিশ্বের প্রথম কমিউনিস্ট রাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে গেলে রাশিয়া মুক্ত বাজার ও গণতন্ত্রের পথে হাটা শুরু করে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ১৯৯২ সালে রাশিয়ার জনগণের মাসিক গড়পড়তা আয় ছিল ২৪ মার্কিন ডলার যা ২০১৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৯৩১ ডলার। ২০১৩ সালের পর থেকে রাশিয়ার অর্থনীতি নিম্নমুখী হতে থাকে যা বর্তমান ২০১৬ সালে দাঁড়িয়েছে ৬০০ ডলার এ। রাশিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা যতই দুর্বল হোক না কেন রাশিয়াকে শক্তিশালী রেখেছে জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্যপদ, বিশাল প্রাকৃতিক সম্পদ ও পারমানবিক সক্ষমতা। তাছাড়াও সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা পুতিনের সর্বাধিক অগ্রাধিকার ভুক্ত।
★★★ রুশ বিপ্লব বা রাশিয়া প্রতিষ্ঠায় ইহুদীদের ভূমিকা
১৯১৭ সালের রুশ বিপ্লবের মাধ্যমে রাশিয়ায় জার শাসনের অবসান হয় এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন বা আধুনিক রাশিয়া প্রতিষ্ঠা পায়। রুশ বিপ্লব হচ্ছে বিংশ শতাব্দীর সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর একটি। রুশ বিপ্লব দুইটি বিপ্লবর সমষ্টি ছিল। প্রথম বিপ্লব হয়েছিল ১৯১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে যার মাধ্যমে রাশিয়ার শেষ সম্রাট দ্বিতীয় নিকোলাসকে উৎখাত করে কেরনস্কির নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। দ্বিতীয় বিপ্লব হয়েছিল অক্টোবরে ভ্লাদিমির লেনিনের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত করে বলশেভিক (কমিউনিস্ট) সরকার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। লেনিন প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও রাশিয়ার অর্থনৈতিক দুরবস্থার সুযোগ নিয় ধনি গরিবের সমতার কথা বলে রাজতন্ত্রের পতন ঘটিয়ে কার্ল মার্ক্সের কমিউনিজম বা কমিউনিস্ট রাশিয়া প্রতিষ্ঠা করেছিল ইহুদীদের সহযোগিতায়। ইহুদীরা বিশ্বকে রাশিয়ার কমিউনিজম ও আমেরিকার ক্যাপিটালিজম এ ভাগ করে "ডিভাইড এন্ড রুল" নীতির মাধ্যমে বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করে।
১৮৯৭ সালের পরিসংখ্যানে জানা যায় যে রাশিয়ান সাম্রাজ্যে ইহুদীদের সংখ্যা ছিল প্রায় ৫৩ লক্ষ্যের মত ইহুদী আর আমেরিকায় ছিল প্রায় ১৫ লক্ষ্যের মত ইহুদী। রাশিয়ান ইহুদীরা অনেকগুলো গুপ্ত সংগঠন তৈরি করে ও রাশিয়া জুড়ে বিপ্লবের বাণী প্রচার করতে থাকে। তারা মার্ক্সিজম-লেনিনিজমের পৃষ্ঠপোষকতা করে রুশ বিপ্লব সংগঠিত করেছিল। আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট এর ফাইল (৮৬১.০০/৫৩৩৯) এর শিরোনাম "Bolshevism and Judaism," dated November 13, 1918 বলা হয়েছে যে রাশিয়ান বিপ্লবের ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হয় ১৯১৬ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে। এবং এতে দেখা যায় যে, আমেরিকার নিম্নোক্ত ব্যক্তি ও ফার্ম এই ধ্বংসাত্মক কাজে অংশ নেয়।
(1) Jacob Schiff (Jew)
(2) Kuhn, Loeb & Company (Jewish Firm)
Management: Jacob Schiff (Jew)
Otto H. Kahn (Jew)
Mortimer L. Schiff (Jew)
Jerome J. Hanauer (Jew)
(3) Guggenheim (Jew)
(4) Max Breitung (Jew)
(5) Isaac Seligman (Jew)
কার্ল মার্ক্স, লেনিন, ট্রটস্কি এরা সবাই ইহুদী বংশোদ্ভূত ছিল। বিপ্লবের সময় ভ্লাদিমির লেনিনের সহচরদের মধ্যে প্রায় ৭৫% ইহুদী ছিল। বলশেভিক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির শুধু ৩ জন ছিলেন রাশিয়ান(লেনিন সহ) ও বাকি ৯ জনই ছিলেন ইহুদী। বিপ্লবোত্তর রাশিয়ার শাসনযন্ত্রের ৫৫৬টি গুরুত্বপূর্ণ পদের ৪৫৮টিই ইহুদীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ইহুদীদের নির্দেশে বলশেভিকরা ১৯১৮ সালের ১৭ ই জুলাই রাশিয়ার শেষ সম্রাট দ্বিতীয় নিকোলাসকে নারী ও শিশু সহ স্বপরিবারে নির্মম ভাবে হত্যা করে। এর মাধ্যমে অন্যদের কেউ সতর্ক করা হয় যে ইহুদীদের বিরোধিতা করলে তার পরিণতি কি হয়। বলশেভিকরা ১৯১৭-১৯২২ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩,২৮৪,০০০ জনকে হত্যা করে ইউনিয়ন অব সোভিয়েত সোস্যালিস্ট রিপাবলিক (ইউএসএসআর) বা সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করে। শান্তিকালীন সময়ে ইহুদীদের ইন্ধনে সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রায় ৬১,৯১১,০০০ জনকে হত্যা করে তাদের প্রভু লুসিফারকে(শয়তান) খুশি করে। ইহুদীরা সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি তাদেরকে জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্যপদও দেয়। যার ফলে রাশিয়া ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধে ইসরাইলকে আর্থিক ও সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে সহযোগিতা করে। আমেরিকার পর সর্বপ্রথম রাশিয়াই ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।
★★★ সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ও আফগান যুদ্ধ
প্রায় ৭০ বছরের শাসনের পর ২৬ ডিসেম্বর ১৯৯১ সালে প্রবল শক্তিধর সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন হয়েছিল। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মূলে ছিল অর্থনৈতিক সমস্যা, জাতিগত বিভেদ ও অভ্যন্তরীণ কোন্দল। সাথে আফগান যুদ্ধ সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনে বিশাল ভূমিকা পালন করেছিল।
আফগানিস্তানে ১৯৭৩ সালের আগ পর্যন্ত রাজতন্ত্র চালু ছিল। ১৯৭৩ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে রাজতন্ত্রের পতন ঘটে এবং প্রজাতন্ত্র হিসেবে আফগানিস্তানের আবির্ভাব ঘটে। ১৯৭৮ সালে আরেকটি অভ্যুত্থানে নিষিদ্ধ বামপন্থী দল পিপল্স ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অফ আফগানিস্তান পিডিপিএ ক্ষমতায় আসে। পিডিপিএ ক্ষমতা নিয়ে কোন্দলে জরায় এবং তারা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে সংঘাতে লিপ্ত হয়। রাশিয়া আফগানিস্তান কে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেয়েছিল তাই তারা পিডিপিএ এর কমিউনিস্ট পন্থিদের সহযোগিতা করার জন্য ১৯৭৯ সালের ডিসেম্বরে আফগানিস্তানে একটি পূর্ণ-মাপের আক্রমণ পরিচালনা করে ও বিশাল সেনাবাহিনী আফগানিস্তানে পাঠায়। রাশিয়ার এই আগ্রাসন আফগান জনগণকে বিক্ষুব্ধ করে তোলে। রাশিয়া তখন নির্বিচারে আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষের ওপর বৃষ্টির মত বোমাবর্ষণ শুরু করে। আফগান মুজাহিদিন ও আলকায়েদার মুজাহিদিনরা রাশিয়ার বিরুদ্ধ সর্বোচ্চ প্রতিরোধ শুরু করে। রাশিয়া আফগানিস্তানে ১০ লক্ষ মুসলিম হত্যা করে, অসংখ্য মুসলিমকে তারা জীবিত ট্যাংকের নিচে পিষে হত্যা করে। মুজাহিদিনদের পাল্টা ঘাতে রুশ বাহিনীও বিপর্যস্ত হয়ে পরে। রাশিয়ানদের ইতিহাসে সোভিয়ত-আফগান যুদ্ধ ছিল সবচেয়ে বার্থ যার ফলে রাশিয়ার অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তি ভেঙ্গে পরে। ফলশ্রুতিতে রাশিয়া ১৯৮৯ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি আফগানিস্তান থেকে সকল সেনা প্রত্যাহার করে খালি হাতে ফিরে আসে। এই যুদ্ধে সোভিয়তের পতনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তান সৌদী আরব ও অন্যান্য মুসলিম দেশ মুজাহিদিনদের সাহায্য করেছিল।
পরাশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের ফলে বিশ্বে আমেরিকা একক পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়। প্রতিদন্দিহীন বিশ্বে নতুন প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রয়োজন হয় তাই আমেরিকার বিশ্ব রাজনীতির প্রয়োজনে ও ইহুদীদের ইন্ধনে নতুন প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে "ইসলাম" কে নিয়ে আসে। আমেরিকা সমগ্র বিশ্বে মুসলিম দেশসমূহের উপর নতুন করে আগ্রাসন শুরু করে। আমেরিকা আরবের পবিত্র ভূমিতে সেনা ঘাটি স্থাপন করে, উপসাগরীয় যুদ্ধের মাধ্যমে মুসলিম হত্যা শুরু করে, ইরাক অবরোধের মাধ্যমে ১৯৯০-২০০৩ সাল পর্যন্ত বিনাযুদ্ধে ৫,৩০,০০০ নারী ও শিশু সহ বেসামরিক ব্যক্তি হত্যা করে। যার ফলশ্রুতিতে আলকায়েদা বিশ্বব্যাপী আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। আলকায়েদার সাথে আমেরিকার দীর্ঘ যুদ্ধের ফলে আমেরিকার অর্থনৈতিক বিপর্যয় নেমে আসে। আমেরিকার এই দুর্বলতার সুযোগে রাশিয়া শক্তিশালী হয় উঠে। তবে রাশিয়া অতীত থেকে শিক্ষা নিয়েছে তাই তারা আমেরিকার সাথে সিরিয়ার মুজাহিদিন ইস্যুতে জোটবদ্ধ হচ্ছে, যেটা সাম্প্রতিককালে আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে আবাস পাওয়া গেছে।
★★★ পুতিন বা রাশিয়ার সাথে মুসলমানদের জোট গঠন
কিছু ইসলামিস্ট ভাইদের দেখা যায় যারা পুতিনকে জুলকারনাইনের সাথে তুলনা করে (ইন্নানিল্লাহ)। এবং অনেকেই রাশিয়াকে মুসলিমদের বন্ধু বা রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর ভবিষ্যতবাণী কৃত "মুসলিম-খ্রিস্টান ঐক্যজোট" মনে করে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। অধিকাংশের মতে হাদিসে বর্ণিত উক্ত জোট হবে ইমাম মেহদীর সময়। তাই এখন এই জোটে আমেরিকা থাকবে নাকি রাশিয়া থাকবে এটা নিয়ে অযথা গবেষণা না করে কুরআন এবং হাদিস অনুযায়ী কাফেরদের সাথে যেমন ব্যবহার করা উচিৎ তাদের সাথেও তেমন ব্যবহার করতে হবে। বর্তমানে আমেরিকা ও রাশিয়া সমান তালে মুসলিম নিধন করে যাচ্ছে।
পুতিন হচ্ছে ভয়ংকর, নিষ্ঠুর, নির্মম শাসক। কোন মুসলিম তাকে সমর্থন করতে পারে না। পুতিন শুধু মিডিয়া প্রোপাগান্ডার জন্য বিলিয়ন ডলার খরচ করে।
১) পুতিন চেচনিয়াতে ১৯৯৯-২০০৯ সাল পর্যন্ত ২৫০,০০০ মুসলিম হত্যা করেছে। ২০০৮ সালের জুনে চেচনিয়াতে ৫৭টি গণকবরের নিবন্ধন করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী গ্রোজনীতে শুধু একটি কবর থেকেই ৮০০ মুসলিমের মৃতদেহ পাওয়া যায়।
২) ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে বেসলানে চেচনিয়ার স্বাধীনতাকামী ৩৪ জন মুজাহিদ ১১০০+ জনকে জিম্মি করে। যখন জিম্মি আলোচনা ফলপ্রসূ হচ্ছিল মুজাহিদিনরা জিম্মি দের ছেড়ে দিচ্ছিল তখন পুতিনের নির্দেশে বেসলানে ট্যাংক ও গ্রেনেড লঞ্চারের মাধ্যমে হামলা চালানো হয়। ৩৪ জন মুজাহিদিনের জন্য পুতিন ৩৩০+ ব্যক্তিকে হত্যা করে যার মধ্যে ১৮৬ জন শিশু ছিল।
৩) সিরিয়াতে পুতিন আরেক ইসরাইলের (ইরান) হয়ে রাশিয়া আগ্রাসন চালিয়ে আইএস ও আমেরিকার থেকেও বেশি সিভিলিয়ান হত্যা করেছে। যাদের মধ্যে শুধু শিশুই ছিল ৯৩৭ জন।
৪) বিভিন্ন সময়ে পুতিন ইসলাম নিয়ে সাংঘর্ষিক মতামত দিয়েছে। রাশিয়ান স্কুল গুলোতে হিজাব নিষিদ্ধের প্রেক্ষিতে বিক্ষোভের সময় পুতিন এক সমাবেশে বলেছিল, রাশিয়া একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র এবং এই দেশের সব নাগরিকের জন্য অবশ্যই একই ধরনের ব্যবস্থা রাখা উচিত। চেচনিয়া নিয়ে এক ফরাসি সাংবাদিকের কড়া প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেছিল সে যেন ইসলামিক ভাবে খৎনা করে আসে।
পুতিনই রাশিয়ার একমাত্র প্রেসিডেন্ট যিনি ২০১২ সালের ২৫ই জুন ইসরাইল সফর করেছিলেন। পুতিন ২০১৪ সালের গাজায় ইসরাইলি হামলাকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছিলেন। ২০১৬ সালের ৭ই জুন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু রাশিয়া সফর করে পুতিনের সাথে দৃঢ় বন্ধুত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। আল্লাহ সুবহানা তাআলা বলেনঃ
★ হে মুমিণগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না। (Al-Maaida: 51)
★ তারা সংঘবদ্ধভাবেও তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারবে না। তারা যুদ্ধ করবে কেবল সুরক্ষিত জনপদে অথবা দুর্গ প্রাচীরের আড়াল থেকে। তাদের পারস্পরিক যুদ্ধই প্রচন্ড হয়ে থাকে। আপনি তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ মনে করবেন; কিন্তু তাদের অন্তর শতধাবিচ্ছিন্ন। এটা এ কারণে যে, তারা এক কান্ডজ্ঞানহীণ সম্প্রদায়। (Al-Hashr: 14)
★ তোমাদের কি ধারণা, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে? অথচ আল্লাহ এখনও দেখেননি তোমাদের মধ্যে কারা জেহাদ করেছে এবং কারা ধৈর্য্যশীল। (Aali Imraan: 142)
★ হে মুমিনগণ, তোমাদের মধ্যে যে স্বীয় ধর্ম থেকে ফিরে যাবে, অচিরে আল্লাহ এমন সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন, যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং তারা তাঁকে ভালবাসবে। তারা মুসলমানদের প্রতি বিনয়-নম্র হবে এবং কাফেরদের প্রতি কঠোর হবে। তারা আল্লাহর পথে জেহাদ করবে এবং কোন তিরস্কারকারীর তিরস্কারে ভীত হবে না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ-তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্য দানকারী, মহাজ্ঞানী। (Al-Maaida: 54)
-------------
মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি বুঝতে পারলেই আন্তর্জাতিক রাজনীতি বুঝা সম্ভব। নিম্নের লেখাগুলো থেকে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যাবে।
ইরান মুসলিম বিশ্বের শত্রু নাকি বন্ধু- http://tinyurl.com/Iran-Friend-or-Foe-Of-Muslims
সিরিয়া এক জলন্ত অঙ্গার- http://tinyurl.com/Syria-is-a-burning-Coal
তথ্যসূত্র:
http://tinyurl.com/Putin-I-Support-Israel
http://tinyurl.com/The-Jews-and-Bolshevism
http://tinyurl.com/Chechnya-Genocide
http://tinyurl.com/Putin-killed-more-Syrian