সাবমেরিন ধ্বংসে কি ধরনের অস্ত্র-সস্ত্র প্রয়োজন?
সাবমেরিন পানির ওপরের না বরং পানির নিচের যান। তাই প্রথাগত অ্যান্টি
শিপ মিসাইল দ্বারা সাবমেরিন ধ্বংস করা সম্ভব হয় না। কারণ পানির নিচে ডুবন্ত
টার্গেটে হিট করা অ্যান্টি শিপ ক্রুজ মিসাইল দ্বারা সম্ভব না। এর জন্য
দরকার টর্পেডো। টর্পেডো বলতে গেলে মিসাইলের মতোই, তবে টর্পেডো পানির নিচে
কার্যকর।
সাবমেরিন ধ্বংসে টর্পেডো ব্যবহার হয়ে থাকে সাধারনত। যদিও সমুদ্রে
সাবমেরিনকে ডিটেক্ট করা অনেক কঠিন তবে খুজে পাওয়া গেলে টর্পেডো দ্বারাই
সাবমেরিন ধ্বংসের চেস্টা করা হয়ে থাকে। এছাড়াও অ্যান্টি সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার
উপযোগী রকেট ও ডেপথ চার্জ ও ব্যবহৃত হয় তবে তার সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক
কম।
তো বলা যায় শিপ ধ্বংসে যেমন মিসাইল তেমনি সাবমেরিন ধ্বংসে চাই টর্পেডো।
এ টর্পোডো ছোড়ার বেশ কিছু উৎস আছে। টর্পেডো সাবমেরিন থেক, জাহাজ থেকে অথবা
হেলিকপ্টার বা বিমান থেকেও ছোড়া যায়। সবচেয়ে ভয়ংকর হলো এয়ার লঞ্চড টর্পেডা
বা বিমান থেকে ছোড়া টর্পেডো কারন সাবমেরিনে বিমান ধ্বংসের জন্য সার্ফেস
টু এয়ার মিসাইল থাকে না। তাই করুন নিয়তিই মেনে নিতে হয়। তবে যেটা কঠিন
তাহলো এ বিশাল সমুদ্রে সাবমেরিনকে খুঁজে বের করা।
এবার দেখি
মায়ানমার কিভাবে আমাদের সাবমেরিন ধ্বংসের চেস্টা করবে। মিয়ানমার নৌবাহিনীর
সবচেয়ে শক্তিশালী যুদ্ধজাহাজ হলো কিয়ান সিত্তাহ ক্লাস ফ্রিগেট। এই ক্লাসের
ফ্রিগেট গুলির দূর্বলতা হচ্ছে এর সি স্টেট ৪ অব্ধি কেবল সহ্য করতে পারে
অর্থাৎ এগুলো গভীর সমুদ্রে যেতে পারে না, উপকূলের কাছাকাছি থাকতে হয়।
এমতাবস্থায় আমাদের সাবমেরিন এর খোঁজে এই বিশাল সমুদ্র চষে বেড়ানোটা অতটা
সহজ নয়। ধরলাম যে আমাদের সাবমেরিন ই ওদের উপকূলের কাছে গেলো। যদি ফ্রিগেটের
সোনার এ ধরা পরেও তবুও ফ্রিগেট গুলোর ৪-৫ কি.মির কাছে যাওয়ার আগে মায়ানমার
নৌবাহিনী সাবমেরিন টির গায়ে আচ ফেলতেও সক্ষম না।
অন্যদিকে আমাদের
সাবমেরিন চাইলেই ১৩-১৪ কি.মি দূর হতে ওদের ফ্রিগেটকে ধ্বংস করতে সক্ষম।
১৮টি টর্পেডো বহন করে একটি মিং ক্লাস সাবমেরিন। আমাদের বহরে এমন ২ টা আছে
এখনো অব্ধি। তো একসাথে ৩৬ টা টর্পেডো আর সেগুলো যদি ৩৬ টাই টার্গেটে হিট
করে তবে শুধু দুইটি মিং ক্লাস দিয়েই মায়ানমার নৌবাহিনীর ভবলীলা সাঙ্গ করে
দেওয়া যেতে পারে। সাবমেরিন দুটোকে কি এখনো খুব অকেজো মনে হচ্ছে?
আর
যদি বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে নতুন যুক্ত হতে যাওয়া সাবমেরিনগুলো বিবেচনা করি
তবে তাতে অ্যান্টি শিপ মিসাইল ও থাকবে প্রায় ২৩০-২৮০ কি.মি রেঞ্জের। সে
সাবমেরিন গুলোকে কাউন্টার করার চিন্তাও মাথায় আনতে পারবে না মিয়ানমার
নৌবাহিনী।