নতুন করে আবারো বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে চাইছে রোহিঙ্গারা

রোহিঙ্গারা


মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নিধন শুরু হলে বাংলাদেশের দিকে ছুটে আসে লাখো রোহিঙ্গা মুসলিমরা। বাংলাদেশ মানবিক দিক বিবেচনা করে এখন পর্যন্ত প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় প্রদান করেছে।

এত বিশাল সংখ্যাক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে কক্সবাজারের প্রাকৃতিক পরিবেশ আজ প্রায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে। প্রতিদিনই বন উজাড় হচ্ছে। সেখানে পশুপাখির যে লোকালয় ছিলো সেগুলোও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে যার ফলে প্রায়ই বন্যপ্রানি লোকালয়ে প্রবেশ করে। বাংলাদেশ একটি দূর্যোগপূর্ন দেশ। তার উপর এত গাছাপালা নিধন, পরিবেশ দূষণ আমাদের ভবিষ্যতের জন্য হুমকি।

অনেক কূটনীতিক প্রচেষ্টা করা হয়েছে বা হচ্ছে, কিন্তু কোনো রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার এখনো ফেরত নেয়নি। তাদের আশ্রয় ও খাদ্যের দিকে সরকার নজর দিতে গিয়ে অনেক সময় স্থানীয়দের দিকে নজর দিতে পারছে না। অনেক রোহিঙ্গা আছে যারা আমাদের বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে মাদকের মাধ্যমে। তাছাড়া আমাদের দেশে মাদক চোরাচালানের সাথে জড়িত তারা।

নতুন করে মিয়ানমারের সেনা অভ্যুথানের কারনে বিভিন্ন সমস্যা চলেছে। এ অবস্থায় নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বেড়েছে। গত দুই মাসে রোহিঙ্গাদের বেশ কয়েকটি দলকে বিজিবি ফিরিয়ে দিয়েছে। এ অবস্থায় নতুন করে সতর্কতা অবলম্বন করছে বিজিবি। ইতোমধ্যে ৩১ জন রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য নতুন করে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া বেশ হুমকি হবে।

আমাদের এত জনসংখ্যার মধ্যে নতুন করে রোহিঙ্গা আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে সরকারের নতুন করে ভেবে দেখা উচিত। প্রতিবেশি কোন দেশ তাদেরকে আশ্রয় দিতে ইচ্ছুক নয়, এমনিতেই আমরা বিশাল একটা সংখ্যা আশ্রয় দিয়ে রেখেছি। তাদের জন্য সাধারণ মানুষের সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনে প্রভাব পড়বে সুতরাং মানবিকতার দোহায় দিয়ে দেশে আশ্রয় দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত নতুন করে ভাবতে হবে। মানবতার নামে বোঝা চাপিয়ে দেওয়া/নেওয়া কখনই গ্রহণযোগ্য নয়।

Powered by Blogger.