আসলেই কি তুরস্ক এবং চীন এফ-২২ ডিটেক্ট করেছিলো?
২০১৮ সালে চীন দাবি করেছিলো তাদের নতুন JY-26 এন্টি স্টিলথ রাডার দিয়ে এফ-২২ কে ডিটেক্ট করেছে। আবার গত বছরই তুরস্ক দাবী করেছে তাদের এস-৪০০ দিয়ে এফ-২২ কে ডিটেক্ট করেছে। আসলেই কি তুরস্ক এবং চীন এফ-২২ কে ডিটেক্ট করেছিলো??
উত্তর হলো হ্যা!!! চলুন এর রহস্য জানা যাক:
মার্কিন এফ-২২ রেপ্টর হলো এমন একটি বিমান যার সমকক্ষ কোন ফাইটার এখনো দুনিয়াতে আসে নি।ত এইরকম বিলিয়ন ডলারের মাল মার্কিনীরা নিশ্চিয় অনেক গোপনীয়তা বজায় রাখবে এটা সহজেই অনুমেয়। স্টিলেথ ফাইটারের প্রধান ক্ষমতা হলো এর RCS বা রাডার ক্রস সেকশন।
তাই এই আরসিএস বা স্টিলথ ক্ষমতা খুবই গোপনীয়। বিশেষকরে এফ-২২ রেপ্টর বিভিন্ন মহড়ায় অংশগ্রহণ করে বা বিভিন্ন ঘাঁটিতে যাওয়ার সময় বিভিন্ন দেশের উপর দিয়ে যেতে হয়।সুতরাং শত্রুরাও নিশ্চয় এই সুযোগ মিস করবে না। বিশেষ করে কপি কিং চায়না এবং রাশিয়া। তাই আমেরিকা এই সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এফ-২২ তে টার্গেডিং পডের মতো একটি বিশেষ লেন্স ব্যবহার করে।এটির নাম লুনবার্গ লেন্স (Luneburg Lens)।
এটির কাজ হলো ফাইটারের আরসিএস বা রাডার ক্রস সেকশন বাড়িয়ে দেয়া।এটি এফ-২২ এর রাডার ক্রস সেকশন 0.0001 স্কয়ারমিটার থেকে বাড়িয়ে ১-২ স্কয়ারমিটার পর্যন্ত নিয়ে আসে। তখন এটিকে রাডারে সাধারন নন-স্টিলেথ ফাইটারের মতো শো করবে।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোন অফিসিয়াল অপারেশন বাদে সবসময় এফ-২২ তে এটি লাগিয়ে রাখে। যেমনটা আমাদের গ্রুপের এক এডমিন পকেটে সবসময় বার্গার নিয়ে ঘুরে।
তবে কোন কারণে যাত্রাপথে যদি অপারেশনের ডাক পড়ে বা স্টিলেথ ক্ষমতার দরকার হয় তাহলে ড্রপট্যাংকের মতো এটিকে ফেলে দেওয়া যায়।
এখন আসি চীন এবং তুরস্কের ব্যাপারটায়।চীন যখন এফ-২২ কে ডিটেক্ট করেছিলো তখন আমেরিকার সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার মহড়া চলছিলো।ঐ যে বলছিলাম মহড়াকালীন সময়েও আমেরিকা এফ-২২ তে এই বিশেষায়িত লেন্স লাগিয়ে রাখে।সুতরাং এইখানে চাইনিজ রাডারের কোন ক্রেডিট নাই।
দ্বিতীয়ত তুরস্ক এফ-২২ কে এস-৪০০ রাডার দিয়ে ডিটেক্ট করেছে।তখন এফ-২২ একটি ন্যাটোর এয়ারবেসে যাচ্ছিলো।তখনো এটিতে কিন্তু সেই লেন্সটি লাগানো ছিলো। আমি বলছিনা এস-৪০০ এফ-২২ কে ডিটেক্ট করতে পারবে না।